

বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সমান জয়-পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৭- এ আছে। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে তালিকায় উপরে থাকলেও সেমিফাইনালে খেলার আর কোনো আশা নেই লঙ্কানদের। ইতোমধ্যে তারা ৮ ম্যাচ খেলেছে। ২ ম্যাচে বৃষ্টি ভেসে যাওয়া ২ পয়েন্ট সহ সমান জয়-পরাজয়ে ৮ পয়েন্ট লঙ্কানদের। পরবর্তী খেলা ৬ জুলাই হেডিংলিতে ভারতের সাথে। শেষ ম্যাচে ভারতের সাথে শ্রীলঙ্কা জিতে গেলেও পয়েন্ট হবে ১০।
কিন্তু বর্তমান সমীকরণে সর্বনিম্ন ১১ পয়েন্ট প্রয়োজন হবে সেমিফাইনালে যেতে। তাতেও লাগবে ভাগ্যের সহায়তা। কেননা ইংল্যান্ড যদি পরবর্তী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সাথে হেরেও যায় তবুও ১০ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় তারাই যাবে সেমিফাইনালে; যদি কেউ ১১ পয়েন্ট অর্জন করতে না পারে।
এক্ষেত্রে সুয়োগ আছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের। পাকিস্তানের লক্ষ্যটা আপতত সহজই বলা যায়। তাদের হাতে একটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তান বাধা টপকানোর আগে বাংলাদেশকে আগে টপকাতে আজকে ভারতকে। আজকে যদি বাংলাদেশে হেরে যায় তবে কোনোভাবেই আর সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। একান্তই যদি ইংল্যান্ড বিশাল ব্যাবধানে হারে আর বাংলাদেশ পাকিস্তানকে বিশাল ব্যাবধানে হারাতে পারে। তখন নেট রান রেটে যদি ইংল্যান্ডকে টপকানো যায়।
এছাড়া রাস্তা একটাই; ভারত-পাকিস্তান দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে জিততে হবে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডকে হারতে হবে নিউজিল্যান্ডের সাথে। কেননা বাংলাদেশ দুই ম্যাচ জেতার পরেও ইংল্যান্ড যদি জিতে তবে তারা ১২ পয়েন্ট নিয়ে ঝামেলা ছাড়াই চলে যাবে সেমিতে। এদিকে ইংল্যান্ড যদি হারে আর বাংলাদেশকে যদি পাকিস্তান হারাতে পারে তাহলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান চলে যাবে সেমিফাইনালে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সাথে ইংল্যান্ড জিতে গেলে কারোরই কোনো সমীকরণে কাজ হবে না। কারণ, তখন নেট রান রেটের তালিকায় আকাশ থেকে পাতালে নামাতে হলে ভারত-নিউজ্যিলান্ডকে বিশাল ব্যাবধানে।
মোট কথা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানকে সেমিফািইনালে যেতে হলে প্রথমত ইংল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ডের সাথে হারার অপেক্ষা করতে হবে। সেই সাথে নিজ নিজ ম্যাচে নিজেদেরকে জিততে হবে। অর্থাত বাংলাদেশকে জিততে হবে ভারত এবং পাকিস্তানের সাথে। অন্যদিকে পাকিস্তানতে জিততে হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
/এসএস