

চীন এবং তাইওয়ানে বন্দি বহিঃসমর্পণ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবিত বিলের বিপক্ষে হংকংয়ে রবিবার রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ৷
সাধারণ জনতার এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজক সংগঠন সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট জানিয়েছে, এই ইস্যুতে গত এপ্রিলে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন৷ বন্দি বহিঃসমর্পণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মানুষের সংখ্যা এখন আরো অনেক বেশি৷
হংকংয়ে যেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেখানে অবস্থানরত জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ’র প্রতিনিধি জানিয়েছেন আজকের বিক্ষোভেও আগেরবারের মতোই অনেকমানুষ অংশ নিচ্ছে৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে লাল কার্ডবোর্ডে চীনা এবং ইংরেজি ভাষায় লেখা রয়েছে, ‘‘চীনে বহিঃসমর্পণ নয়৷”
বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুর ঘণ্টাখানেক পরও অনেক মানুষকে সেটিতে যোগ দিতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে৷ ভিড় কমার কোন ইঙ্গিত সেখানে নেই, বরং ক্রমশ তা বাড়ছে৷ প্রতিবাদকারীরা মনে করছেন, বন্দি প্রত্যাবর্তনের এই আইন পাস হলে তা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে৷
হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি৷ ১৯৯৭ সালে হংকংয়কে চীনের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল৷
প্রসঙ্গত, গতবছরের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত এই বিলটি তৈরি করা হয়৷ তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিয়োগ ওঠে হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের বন্দি বিনিময়ের কোন চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না৷
ওদিকে তাইওয়ান জানিয়েছে যে সন্দেহভাজন সেই খুনের মামলার আসামিকে ফেরত নিতে চায় না তারা কেননা এটি এমন এক উদাহরণ সৃষ্টি করবে যা চীন ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে৷
বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কোন বন্দিকে ফেরত পাঠানোকে নিরাপদ মনে করছেন না তাইওয়ান এবং হংকংয়ের সাধারণ মানুষ৷
হংকংয়ে পুরো পরিবার সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেয়া হেরা পুন বলেন, ‘‘আমি মনে করি এটা এখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত সবচেয়ে বাজে আইন৷ আমরা সবাই বুঝতে পারছি যে হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থায় নাড়া দিচ্ছে চীন৷”
সূত্র: ডয়চে ভেলে
আইএ/পাবলিক ভয়েস