

ভয়েস ডেস্ক: আজ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমানকবি ফররুখ আহমদ এর ১০১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১৮ সালের ১০ জুন তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা সৈয়দ হাতেম আলী ছিলেন একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর। মা রওশন আখতার ছিলেন গৃহিনী। বৈবাহিক জীবনে তিনি ১১জন সন্তানের বাবা ছিলেন। তারা হলেন : সৈয়দা শামারুখ বানু, সৈয়দা লালারুখ বানু, সৈয়দ আবদুল্লাহল মাহমুদ, সৈয়দ আবদুল্লাহেল মাসুদ, সৈয়দ মনজুরে এলাহি, সৈয়দা ইয়াসমিন বানু, সৈয়দ মুহম্মদ আখতারুজ্জামান [আহমদ আখতার], সৈয়দ মুহম্মদ ওয়হিদুজ্জামান, সৈয়দ মুখলিসুর রহমান, সৈয়দ খলিলুর রহমান ও সৈয়দ মুহম্মদ আবদুহু।
মুসলিম জাগরণের কবি বা ইসলামি রেঁনেসার কবি ফররুখ আহমদ সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাইড অব পারফরম্যান্স, ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার এবং একই বছরে ইউনেসকো পুরস্কার লাভ করেন।
কিশোর বয়স থেকে কবিতা রচনা করলেও ২৬ বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয়। তাঁর অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে, ‘আজাদ কর পাকিস্তান’ (১৯৪৬), ‘সিরাজম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (১৯৬১), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (১৯৬৩), ‘হাতেম তা’য়ী’ (১৯৬৬), ‘হে বন্য স্বপ্নেরা’ (১৯৭৬), ‘ইকবালের নির্বাচিত কবিতা’ (১৯৮০), ‘কাফেলা’ (১৯৮০), ‘হাবেদা মরুর কাহিনী’ (১৯৮১), ‘তসবির নামা’ (১৯৮৬), ‘দিলরুবা’ (১৯৯৪), ‘ঐতিহাসিক অনৈতিহাসিক কাব্য’ (১৯৯৪), ‘অনুস্বার’ ও ‘ধোলাই কাব্য’।
শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত গ্রন্থের নাম : ‘পাখীর বাসা’ (১৯৬৫), ‘হরফের ছড়া’ (১৯৬৮), ‘নতুন লেখা’ (১৯৬৯), ‘ছড়ার আসর’ (১৯৭৯), ‘চিড়িয়াখানা’ (১৯৮০), ‘কিসসা কাহিনী’ (১৯৮৪), ‘মাহফিল ১ম ও ২য় খণ্ড’ (১৯৮৪) ও ‘ফুলের জলসা’ (১৯৮৫)।
১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর ইস্কাটন গার্ডেনের সরকারি বাসভবনে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে ১৯৭৭ সালে একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
/এসএস