

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৈরি হওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব পবিত্র মক্কা নগরীতে মুসলিম দেশগুলোর জরুরি সম্মেলন ডেকেছে।
প্রায় সব মুসলিমপ্রধান দেশ যে সৌদি আরবের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মক্কায় উপস্থিত হয়েছে- তা বোঝাতে ইরান-বিরোধী সম্মেলনটি ডাকা হয়েছে আজ। অর্থাৎ ওআইসি সম্মেলনের এক দিন আগে। ফলে ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা সংস্থাটির নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতে এসে বাড়তি আরও একটি সম্মেলন করে যাবেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মক্কা সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের বিরুদ্ধে উপসাগরীয়, আরব এবং মুসলিমবিশ্বকে একত্রিত করা।
এমন পরিস্থিতিতে মক্কায় আসন্ন ওআইসি সম্মেলনে ইরান যোগ দিবে কী না তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলেনি দেশটি।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত আরব গালফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ হুসেইন আইবিশ বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, রিয়াদের লক্ষ্য হলো এই সম্মেলনের মাধ্যমে ‘আরব ও মুসলিম সমর্থনকে ঐক্যবদ্ধ রেখে (সৌদি আরব) সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটবে, না কী কূটনীতির আশ্রয় নিবে’ সেই পথ খুঁজে নেওয়া।
এদিকে, দিনে দিনে জটিল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। ইরানের ওপর চলছে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোরতম অবরোধ। দেশটিকে আরও চাপে রাখতে আরও ১,৫০০ মার্কিন সৈন্য মধ্যপ্রাচ্যে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আরব সাগরে অবস্থান করছে বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এরই মধ্যে ওমান উপসাগরে সৌদি ট্যাঙ্কারে রহস্যজনক বিস্ফোরণ এবং সৌদি আরবের ভেতরে অবস্থিত তেলের পাইপ ও একটি কথিত অস্ত্রাগারে ইয়েমেনের হুতিদের ড্রোন হামলা সেই সঙ্কটকে আরও জটিল করে তুলেছে। আর একারণেই মক্কায় ডাকা হয়েছে ‘ইরান-বিরোধী’ জরুরি বৈঠক।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে দেশটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে।
সেই হুমকিতে উদ্বিগ্ন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগেুলো। কেননা, এই প্রণালী দিয়েই বিশ্বের সাগরপথে পরিবহন করা মোট তেলের ৩৫ শতাংশ যায়।
আইএ/পাবলিক ভয়েস