আজ বসলো না পদ্মাসেতুর ১৩তম স্প্যান

প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৯

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে আজ শুক্রবার পদ্মাসেতুর ১৩তম স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে বসানো হলো না স্পান টি। তবে আগামীকাল শনিবার সকালে স্পান টি বসানোর কাজ শুরু হবে।

লিফটিং হ্যাঙ্গার প্রস্তুত না থাকায়, বৈরী আবহাওয়ায় আলোর স্বল্পতা ও বিলম্বে স্প্যান নিয়ে রওনার কারণে দুপুরে স্প্যান বসানোর কাজ স্থগিত হয়।

তবে আগামীকাল শনিবার সকালে মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর ত্রয়োদশ এ স্প্যান বসানো হবে বলে জানিয়েছেন। পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার মাওয়াস্থ কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩-বি নামে স্প্যান নিয়ে রওনা হয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেনটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য স্প্যানটি নিয়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছে যায়। এরপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা।

তিনি আরো জানান, পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় আজ শুক্রবার স্প্যান নিয়ে বিলম্বে রওনা দেওয়া হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভাসমান ক্রেন স্প্যান নিয়ে সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসাতে কাজ শুরু হয়। কিন্তু স্প্যানের পজিশন সঠিক করতে আরো বিলম্ব হতে পারে।

‘এ অবস্থায় আলোর স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। কাজেই স্প্যান বসাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুপুর ২টার দিকে স্প্যান বসানোর কাজ স্থগিত করা হয়। তবে আগামীকাল শনিবার সকালে স্প্যান বসানোর কাজ আবার শুরু হবে’।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র আরো জানায়, চলতি মাসেই শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের মাঝামাঝি ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর সেতুর দ্বাদশ স্প্যান বসানো হয়েছিল। এখন প্রতি মাসেই এক থেকে একাধিক স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

এতে করে পদ্মা সেতুর মহাকর্মযজ্ঞে গতিশীলতা এসেছে বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে, শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে পদ্মাসেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসে। এরপর থেকে একের পর এক স্প্যান বসতে থাকে পদ্মাসেতুতে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মাসেতুর ৪২ পিলারের ওপর ৪১ স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। দোতলা আকৃতির এ সেতু কংক্রিট ও স্টিলের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতু নির্মাণের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামে চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। এ ছাড়া একই দেশের প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো নদী শাসনের কাজ করছে।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন