

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, বায়তুল মুকাদ্দাসসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবসানে গোটা আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষকরে জাতিসংঘের দায়িত্ব রয়েছে। সবাইকে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ‘নাকবা দিবস’-কে সামনে রেখে ইরান এ কথা বলেছে।
ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছর ১৫ মে মাতৃভূমি হারানোর বার্ষিকীতে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় দিবস পালন করেন। ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের এই দিনে অন্তত ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত ইহুদিবাদী ইসরাইল এখন আঞ্চলিক সব সংকটের উৎস এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
দখলদারিত্ব শুরুর পর সাত দশকেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এখন দখলদারিত্ব, অপরাধযজ্ঞ ও আগ্রাসন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পূর্বপুরুষের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
অধিকৃত অঞ্চলসহ গোটা ফিলিস্তিনে মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজন এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাকবা দিবসে আমেরিকার সমর্থনে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখল করে অবৈধ ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয় এবং যুদ্ধ, অপরাধযজ্ঞ ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস