শ্রীলংকার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ ভাঙচুর ও মুসলিমদের ওপর হামলা, কারফিউ জারি

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৯

মুসলিম বিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রীলংকায় দেশব্যাপী রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। কয়েকটি স্থানে মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। এ পর্যন্ত সহিংসতায় একজন মারা গিয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। শ্রীলংকার বিভিন্ন শহরে দাঙ্গাকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।

কয়েকদিন আগে ইস্টার সানডে’তে শ্রীলংকার কয়েকটি গির্জা ও অভিজাত হোটেলে হামলার ঘটনায় ২৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। হামলার পর থেকেই দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশের সকলকে শান্ত থাকার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহ।

উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে গত মাসের ভয়াবহ এই হামলার তদন্ত কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে সাত ঘন্টা ধরে বলবৎ ছিল এই রাত্রিকালীন কারফিউ।

শ্রীলংকার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর কিনিয়ামায় একটি মসজিদের দরজা-জানালা ভাংচুর করেছে আক্রমণকারীরা। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনের কয়েকটি কপিও মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে এসময়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মসজিদের ভবনের তল্লাশির দাবি জানিয়ে জনতা সেখানেও পুলিশী অভিযানের দাবি উঠালে তারই এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার আগে মসজিদের নিকটস্থ একটি জলাশয়ে অস্ত্র আছে কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকে এক ব্যক্তির দেওয়া বিতর্কিত একটি পোস্টের পর খ্রিস্টান-প্রধান শহর চিলৌ-তে মুসলিমদের কিছু দোকান ও মসজিদে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ৩৮ বছর বয়সী সেই মুসলিম ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমের পুত্তালাম জেলায় এক ব্যবসায়ীর দোকানে ক্রুদ্ধ জনগণ আক্রমণ করার পর ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। হেট্টিপোলা শহরেও তিনটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন