

ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর সম্ভাব্য হামলা মোকাবেলা ও ইরানের পরমাণু কার্যক্রম বৃদ্ধি রোধ করতে আপডেট সামরিক পরিকল্পনাটি গত বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের এক বৈঠকে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান এ পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ ওই নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জন বোল্টন, গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র পরিচালক জিনা হ্যাসপেল, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ডান কোস্ট ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড।
ওই বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিস্তারিত পরিকল্পনা হয়েছে যার অন্যতম ছিলো মধ্যপ্রাচ্যে সেনা মোতায়েন।
গতবছর ৮ মে ইরানের সঙ্গে ৬ জাতিগোষ্ঠীর পরমাণুচুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
পরে ইরানের ওপর দফায় দফায় অর্থনৈতিক অবরোধ এমনকি দেশটির এলিট ফোর্স রেভ্যুলুশনারী গার্ড কপর্সকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দেয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে।
এরই মধ্যে ইরানকে একটি বৃহত্তর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণচুক্তিতে রাজি করাতে চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী মোতায়েন ও উপসাগরীয় এলাকায় বিধ্বংসী বোমারু বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে নতুন এই পরিকল্পনার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের কোনো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি পেন্টাগনও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ট্রাম্প সোমবার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণে রণতরী ও বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
সেখানে ইরান যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানার চেষ্টা করে তবে তা হবে মারাত্মক ভুল আর এর জন্য তেহরানকে চরম পরিণতি বরণ করতে হবে।
ইরান বলছে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়ানোর পায়তারা করছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন যুদ্ধের হুমকি ছাড়া কিছু নয়। তবে কোনোভাবেই ইরানের তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে দেয়া হবে না।
আইএ/পাবলিক ভয়েস