

আবারও এক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে গোটা কাশ্মীর৷ তাদের যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর৷ সেখানে জনগণের ছোঁড়া পাথরে প্রায় ৫০ জন নিরাপত্তা কর্মী জখম হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর৷
৯ মে এক তিনবছরের মেয়েকে লজেন্সের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী এক যুবক৷ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়৷
এখন সে পুলিশ হেফাজতে আছে৷ শিশু ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসতে ফেটে পড়েন সকলে৷ এক জেলা থেকে বিক্ষোভ অপর জেলাতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে৷ এদিন বারামুল্লা জেলায় প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা৷
জাতীয় সড়কে মোতায়েন করা নিরাপত্তা বাহিনী দেখে তাদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে৷ তাতে ৪৭ জন নিরাপত্তা কর্মী জখম হন৷
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, মিরগুন্ড, ছিনাবল, হারথরথ, সিংপোরা, ঝিল ব্রিজ ও হাঞ্জিওয়েরা এলাকাগুলি বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে৷ নিরাপত্তা বাহিনী লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে৷
সেই পাথরের আঘাতে নিরাপত্তা কর্মীরা জখম হন৷ একটি পাথর এক জওয়ানের মাথায় এসে লাগে৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর৷
শুধু বারামুল্লা নয়, এদিন কাশ্মীরের নানা জায়গা ছিল উত্তপ্ত৷ শিশু ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বনধের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷
তার জেরে সোমবার স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয় সেখানে৷ স্কুল, দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সব ছিল বন্ধ৷ রাস্তায় গাড়িও চলেনি সেভাবে৷ তবে সরকারি অফিস ও ব্যাংক ছিল খোলা৷
এদিকে নির্যাতিতা শিশুটি শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি৷ তার অবস্থা স্থিতিশীল৷ পরিবারের তরফে অভিযুক্ত যুবকের কঠিনতম শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে৷
ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক৷ পরিবারকে আশ্বস্ত করে জানান, এমন ঘৃণ্য কাজের জন্য অভিযুক্তের যেন কড়া শাস্তি হয় সেই নির্দেশ পুলিশকে দিয়েছেন৷
তবে মেহবুবা মুফতির মতে ওই শাস্তি যথেষ্ট নয়৷ অভিযুক্তকে শারিয়া আইন মেনে পাথর দিয়ে আঘাত করে মৃত্যুর শাস্তি দেওয়া উচিত৷ সূত্র: কলকাতা নিউজ।
আইএ/পাবলিক ভয়েস