

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়ন থেকে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী পপি আক্তার (২৪) ও উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের মেয়ে লুবনা আক্তার (১৯)। এদের মধ্যে পপি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী আবু তাহেরকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় গত চার বছর আগে আবু তাহেরের সঙ্গে পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের হাজী আব্দুস সোবহানের মেয়ে পপি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পপি আক্তারের কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার ও নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পপির স্বামী আবু তাহের, শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে- ময়নাতদন্ত ছাড়া হত্যার কারণ বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে এক বছর আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে মোবাইলে বিয়ে হয় লুবনার। বিয়ের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন। সামনের ঈদে তার স্বামীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামে অলঙ্কার হারানোকে কেন্দ্র করে ছোট বোন লাভলি আক্তারের সঙ্গে তর্কবির্তকের জেরে বিষপান করেন লুবনা আক্তার। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চরজব্বার থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ পপি আক্তার নিহতের ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস