

দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সাজা বাতিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত৷ রায়ে আদালত বলেছেন, এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশটির দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে৷
২০১২ সালের নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল কয়েক দশক ধরে সামরিক শাসনের অধীনে থাকা মিয়ানমারে ধীরে ধীরে গণতন্ত্র বিকশিত হয়ে উঠবে৷ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দুই সাংবাদিকের আপিলের বিষয়ে দেশটির উচ্চ আদালতের রায় মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷
ওয়া লন (৩৩) ও কিয়াউ সোয়ি উ (২৯) নামে মিয়ানমারের নাগরিক ও রয়টার্সের প্রতিনিধি ২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন৷ গোপনে রাষ্ট্রীয় তথ্য সংগ্রহের দাবি করে মিয়ানমার সরকার সে বছর ডিসেম্বর মাসে তাদের আটক করে৷ পরে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় এক আদালত দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাঁদেরকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন৷
এদিকে উচ্চ আদালতের রায়ের পর দেশটির জনগণের বাকস্বাধীনতা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা৷ রায়ের পর এক বিবৃতিতে রয়টার্সের প্রধান উপদেষ্টা গাইল গোভে বলেন, ‘‘ওয়া লন ও কিয়াউ সোয়ি উ কোনো অন্যায় করেননি বা তারা কোনো অন্যায় করেছেন এমন প্রমাণ নেই৷ মূলত সত্য প্রকাশে তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য পুলিশ ঘটনাটিকে এমন রূপ দিয়েছে৷” তবে তাদেরকে মুক্ত করতে সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি৷ ডয়চে ভেলে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস