নুসরাত হত্যায় ব্যবহৃত বোরকা খাল থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০১৯

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি বোরকা খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ শনিবার দুপুরে নুসরাতের সহপাঠী রিমান্ডে থাকা জোবায়েরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাগাজী সরকারি কলেজের পেছনের খাল থেকে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

জানা যায়, নুসরাত হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আট আসামির একজন জোবায়ের। তাকে গত ৯ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জোবায়ের এখন রিমান্ডে রয়েছেন।

পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, নুসরাতের সহপাঠী জোবায়ের এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাগাজী সরকারি কলেজের পেছনে একটি খালে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে হত্যার সময় ব্যবহৃত তিনটি বোরকার একটি উদ্ধার করে পিবিআই।

তিনি আরো বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুরে অপর আসামি কামরুন নাহার মনির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিবিআই জেনেছে সোনাগাজী পৌর শহরের মানিক মিয়া প্লাজার একটি দোকান থেকে মনি বোরকা কেনেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া পুরুষদের গায়ে যে তিনটি বোরকা ছিল তার একটি উদ্ধার করল পিবিআই।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত ছিলেন ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।

মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর লোকজন তার গায় আগুন দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।

এ ঘটনায় মামলায় অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্যসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ মামলায় এজহারভুক্ত আটজনসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর ১৩ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছেন।

এছাড়া গতকাল শুক্রবার সোনাগাজী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পিবিআই।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন