

চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিন ধরে চীনে নির্যাতিত হয়ে আসছে। তবে নির্যাতনের সঙ্গে সঙ্গে উইঘুর সম্প্রদায়ের মসজিদ ভাঙছে চীন সরকার।
সম্প্রতি স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবিতে মসজিদ ভাঙার এমন চিত্রই ধরা পড়েছে।
ইয়েনি শাফাক এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সরকার মুসলিমদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াংয়ের ল্যান্ডমার্ক মসজিদ সুসংগতভাবে ধ্বংস করছে।
দুজন ব্যক্তির টুইটারে পোস্ট করা ছবিতে জিনজিয়াংয়ের ল্যান্ডমার্কের অন্তত দুটি মসজিদের চিত্র দেখা যায়। যেখানে মসজিদের আগের চিত্র ও পরের চিত্র দেওয়া হয়েছে।
এসব ছবি স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হিসেবে ধ্বংসের আগের চিত্রের সঙ্গে পরের চিত্রের তুলনা দেখানো হয়।
ছবিতে দেখা যায়, দক্ষিণের হোতান অঞ্চলের কেরিয়া মসজিদটি যেখানে ছিল, ওই জায়গা এখন একদম ফাঁকা। ধ্বংসপ্রাপ্ত কেরিয়া আতিকিকা মসজিদ হোটান শহরে অবস্থিত। এটি ৮০০ বছরের পুরনো। মসজিদটি ১২৩৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটিকে ২০১৭ সালে চীনা স্থাপত্য ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
অনির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের দাবি করছে, চীনের কারগিলিক মসজিদটি ইতিমধ্যেই চীনা সরকার ভেঙে ফেলেছে।
সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এক ধরনের বন্দীশিবিরে আটকে রেখেছে চীন।
দেশটি মুসলিমদের ওপর গত কয়েক বছর ধরে নানা অত্যাচার করছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পশ্চিমা অনেক দেশ অভিযোগ তুলেছে।
এ ছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো তথাকথিত পুনর্বাসন শিবিরে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতন নিয়ে বেইজিংয়ের সমালোচনা করছে।
আইএ