বিজেপির ইশতেহার ‘এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর’

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৯

আগ্রাসী এবং দূরদর্শিতার কোনও ছাপ নেই— বিজেপির সদ্য প্রকাশিত ইশতেহারকে এই ভাষাতেই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

একই সঙ্গে টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘এই ইশতেহারে মিলছে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কণ্ঠস্বর’। নাম না করলেও এই মন্তব্যটা যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশেই, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই কারও।

গতকাল সোমবার বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘ঠান্ডা ঘরে বসে থেকে দারিদ্রের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’ এক দিন পর কংগ্রেস শিবির থেকে মিলল তার প্রত্যুত্তর। আর সেই কাজটা করলেন খোদ সভাপতি রাহুলই।

আজ সকালেই টুইট করে বিজেপির ইশতেহার নিয়ে নিজের বক্তব্য জানান রাহুল। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলোচনার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের ইশতেহার।

লক্ষ লক্ষ মানুষের কথা আছে এই শক্তিশালী ইশতেহারে। সেখানে বিজেপির ইশতেহার বানানো হয়েছে বন্ধ ঘরে, যা আসলে এক বিচ্ছিন্ন মানুষের একার কথা। একই সঙ্গে এই ইশতেহার আগ্রাসী এবং তাতে দূরদর্শিতার চিহ্নমাত্র নেই।’

গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে নিজেদের ইশতেহার ঘোষণা করে বিজেপি।

একই সঙ্গে নিজেদের পুরনো দাবি অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও রাখা হয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে।

ইস্তাহার প্রকাশ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘জাতীয়তাবোধই আমাদের অনুপ্রেরণা। গরিবদের শক্তিশালী করাই আমাদের দর্শন এবং ভাল ভাবে সরকার চালানো আমাদের লক্ষ্য।’

অন্য দিকে গত সপ্তাহেই নিজেদের ইস্তাহার সামনে এনেছে কংগ্রেস। সেই ইশতেহার অনুয়ায়ী ‘ন্যায়’ প্রকল্পই হল তাদের তুরুপের তাস।

ভারতের ২০ শতাংশ দরিদ্র মানুষকে বছরে ৭২,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের ধারা অনুসরণ করে কৃষকদের ঋণ মকুব করার কথাও বলা হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে।সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন