

এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ দেশ ব্রুনাই-এ সমকামিতার শাস্তি হিসেবে বেত্রাঘাত বা পাথর ছুঁড়ে হত্যার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতির শাস্তি হিসেবে হাত বা পায়ের পাতা কেটে ফেলারও শাস্তির বিধান রেখা আইন পাশ করা হয়েছে।
ব্রুনাইয়ের জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার। সমকামিতা দেশটিতে এখনও অবৈধ। এর সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছর। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকার সময় থেকেই দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও সাধারণত তা কার্যকর করতে দেখা যায় না। তবে নতুন আইনে নতুন শাস্তি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল থেকে পাথর ছোঁড়া ও অঙ্গচ্ছেদ আইন কার্যকর হবে।
এর আগে ২০১৩ সালে দেশটিতে শরিয়াহ আইন প্রচলনের উদ্যোগ নিয়েও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছিয়ে আসে ব্রুনাই-এর সরকার। ওই সময় চাপের মুখে পিছিয়ে গেলেও এবারে দেশটিতে চালু হচ্ছে এ শরিয়াহ আইন। এর আওতায় পুরুষের সমকামিতার শাস্তি হিসেবে নির্ধারণ করা আছে পাথর ছুঁড়ে হত্যা।
তবে এ আইনের বিরোধিতা করেছে মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর গবেষক রাচেল চোওয়া-হাওয়ার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ ধরণের নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তিকে বৈধতা দেওয়া যে কোনও দেশের জন্যই বিপদজনক’।