মোল্লা আবদুল গনি বারাদার : তালেবানদের রাজনৈতিক প্রধান যিনি

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

তালেবানদের সাথে আমেরিকার শান্তি আলোচনা এবং আফগানিস্তানে ৭০ ভাগের বেশি অংশে তালেবানদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তালেবানদের পক্ষে অনেকটাই জনমত তৈরি হয়েছে। আফগানিস্তানের পরবর্তি নেতৃত্বে তালেবানরা বসতে পারে বলেই জোর গুঞ্জণ চলছে বিশ্বব্যাপী। তালেবানরা তাদের সামগ্রিক কার্যক্রমও এখন প্রকাশ্যেই করছে। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানদের রাজনৈতিক অফিস স্থাপন করাসহ তারা বিশ্বব্যাপী যে কোন দেশ এবং যে কোন মিডিয়ার সাথে আলোচনার জন্য তাদের প্রধান মূখপত্র বা আলোচকও নিয়োগ দিয়েছেন।

তালেবানরা তাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং আফগান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া মোল্লা আবদুল গনি বারাদারকে তাদের প্রধান আলোচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি কাতারে অবস্থিত তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমেরিকার সাথে শান্তি আলোচনা শুরুর দিকে তার নাম বেশ কয়েকবার উচ্চারিত হলেও তালেবান আমেরিকা আলোচনার শেষ সময়ে তিনিই সব বিবৃতি এবং মতামত প্রদান করে তার অবস্থান জানান দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে আব্দুল গনি বারাদার এই তালেবানদের শীর্ষ নেতা মোল্লা মোহাম্মাদ ওমরের উপপ্রধান ছিলেন। মোল্লা ওমর তাকে ‘বারাদার’ উপাধী দিয়েছিলেন। মোল্লা আবদুল গনি বারাদার তালেবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফগানিস্তানে তালেবানের সামরিক কর্মকান্ডের অধিনায়ক। তার বয়স এখন ৫০-এর কোঠায় বলে ধারণা করা হয়। তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ২০১০ সালে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পর পাকিস্তান জেলে দীর্ঘদিন বন্দি থেকে ২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পেয়েছেন।

তালেবানদের বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে তিনি তার যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন বারবার। তিনি যে কোন প্রতিকূল পরিবেশেও তালেবানকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তালেবানদের সামগ্রিকভাবে আত্মপ্রকাশে আসার বিষয়েও আবদুল গনী বারাদারের বেশ ভূমিকা ছিল বলেই জানা যায়। সর্বশেষ কাতারের রাজধানী দোহায় আমেরিকার সঙ্গে তালেবানের আলোচনায় তিনিই তালেবান প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ছিলেন।

আবদুল গনী বারাদারদের মত বেশ কিছু যোগ্য তালেবান নেতাদের হাত ধরে তালেবানরা ঘুরে দাড়িয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী কেবল স্বীকৃতিই পাচ্ছেন না বরং তালেবান আফগান নেতৃত্বের আসনে বসে যাবে বলেই বিশ্লেষকরা মতামত দিচ্ছেন।

মন্তব্য করুন