অস্ত্র কেড়ে নিয়েছিলেন এই যুবক, নয়ত ‘লিনউড’ মসজিদেও বাড়তো শহীদের সংখ্যা

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৯

জনিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে উগ্র খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী বন্দুকধারীর হামলায় ৩ জন বাংলাদেশীসহ প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪৯ জন। তবে লিনউড মসজিদে হামলার পর এক তরুণ বন্দুকধারীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন সাহসী ওই তরুণ। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় যখন এই হামলার ঘটনা ঘটে তখন তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে বন্দুকধারী সঙ্গে খালি হাতে লড়াই করে অস্ত্র কেড়ে নেন। আর তার কারণেই প্রাণে বেঁচে যায় অনেক মানুষ। নইলে লিনউড মসজিদেও অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটতো।

সাহসী সেই তরুণ জুমার নামাজ পড়তে যান ওই মসজিদে। তার জন্য বেঁচে গেছে বহু মানুষের প্রাণ। অন্যথায় আরো মানুষের হত্যাকাণ্ড দেখতে হতো বিশ্ববাসীকে। নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম হেরাল্ডকে সেই তরুণের গল্প শুনিয়েছেন ওই মসজিদ থেকে বেঁচে ফেরা সৈয়দ মাজহারউদ্দিন।

জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে এক অস্ত্রধারী হামলা চালায়। কাছের লিনউড মসজিদে যে দুই ব্যক্তি হামলা চালায় তাদের হাতে ছিল অটোমেটিক রাইফেল। নির্বিচারে গুলিতে আল নূর মসজিদে ৪১ জন এবং লিনউডে ৭ জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।

সৈয়দ মাজহারউদ্দিন বলেন, ‘তখন লিনউড মসজিদে ছিলেন ৬০ থেকে ৭০ জনের মত। আচমকা ভেতরে গুলি শুরু হয়। চারপাশের সবাই চিৎকার করে পালানোর চেষ্টা করে। ভয়ে লোকজন দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে। আমি তখন লুকিয়ে পড়ার জায়গা খুঁজছিলাম। এ সময় দেখলাম এক লোক মসজিদের গেট দিয়ে ঢুকল।’

সৈয়দ মাজহারউদ্দিন আরও বলেন, ‘দরজার কাছে কয়েকজন বয়স্ক লোক ছিলেন। হামলাকারী তখন নির্বিচারে গুলি করতে থাকেন। এসময় সুযোগ বুঝে এগিয়ে আসেন সেই তরুণ। সঙ্গে সঙ্গে হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। আর হামলাকারীর হাত থেকে বন্দুকটা কেড়ে নেন।’
তিনি তরুণের সাহসিকতার কথা বলছিলেন, ‘বন্দুক হাতে পেলেও কিন্তু বন্দুকের ট্রিগারটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না মসজিদের তরুণ। হামলাকারী সেই সুযোগে দৌঁড়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যান। তারপর বাইরে অপেক্ষায় থাকা একটি গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান।’

মন্তব্য করুন