

অবশেষে তুরস্কের ইস্তম্বুলে আজ বৃহস্পতিবার উন্মুক্ত করে দেওয়া হল তুরস্কের সবচেয়ে বড় ও সুন্দরতম মসজিদ “জামে ছামলেঝা” (তুরস্কের ভাষায় যার নাম- Çamlıca Republic Mosque)।
আজ ৭ মার্চ সুবহে সাদিক শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মসজিদের কারুকার্যময় সুউচ্চ মিনার থেকে ধ্বনিত হয় ফজরের আজান। ফজরের আজানের সাথে সাথে যাত্রা শুরু হয় একটি নতুন ভোরের। ফজরের নামাজে হাজার হাজার মুসল্লির সাথে নামাজ আদায় করেন তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিন আলি ইয়ালদারম।
পনের হাজার বর্গমিটারের এই মসজিদে একসাথে ষাট হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবে। (যদিও উইকিপিডিয়া বলছে ৩৭০০০)। মসজিদ কমপ্লেক্সে থাকছে একটি সম্মেলন কক্ষ, একটি ইসলামি জাদুঘর এবং একটি গণগ্রন্থাগার।
মসজিদটিতে মোট ছয়টি মিনার রয়েছে। চারটি মিনারের উচ্চতা ১০৭.১ মিটার। অবশিষ্ট দুটি মিনারের উচ্চতা নব্বই মিটার। চার মিনারের উচ্চতাকে গবেষক মহল বিশেষ ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। বলা হচ্ছে এর দ্বারা মূলত ১০৭১ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত মানযিকার্টের যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যেখানে সেলজুক সুলতান আল্প আরসালান মাত্র বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে বাইজান্টাইন সম্রাট রোমানূসকে শোচনীয় পরাজয়ের বিস্বাদ ও গ্লানিতে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ তার সৈন্যসংখ্যা ছিল দুই লাখ।

মসজিদের রাতের দৃশ্য
মসজিদের গম্বুজের উচ্চতা ৭২ মিটার এবং প্রস্থ ৩৪ মিটার।
মসজিদের বহিরাংশে গড়ে তোলা হয়েছে ত্রিশ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত ফুলবাগিচা। সংবাদমতে এটা তুরস্কের দীর্ঘতম ফুলবাগান বা পার্ক। পার্কের কিছু অংশ তুরস্কের এশীয় অংশে এবং অপর অংশে ইউরোপীয় অংশে। পার্কে চলতে চলতে দর্শনার্থীরা একইসাথে মারমারা সাগরের মৃদুমন্দ হাওয়া উপভোগের সুযোগও পেয়ে যাবেন ফ্রিতে। উসমানি আমলের স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিক স্থাপত্যকলার মিশেলে অলংকৃত এই মসজিদ রাষ্ট্রপতি এরদোগানের ভাষায় ‘তুরস্কের জনগণের নতুন আধ্যাত্মিক বর্ম।