

অন্যায়ভাবে পাকিস্তানী সিমান্ত পার করে পাকিস্তানে প্রবেশ করে ধৃত হওয়া ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার ডাক উঠেছে স্যোশাল মিডিয়ায়। ফেসবুক টুইটারসহ অনেক যায়গায় তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার দাবি তোলা হয়। এমনকি ভারতেও অনেকে ইমরান খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেন।
এ প্রসঙ্গে ইমরান খান সোমবার এক টুইট বার্তায় জানান, “তিনি নন_ বরং নোবেল পুরস্কার সে-ই পেতে পারে যে কাশ্মীর ইস্যূর সমাধান করে দিতে পারবে এবং এ উপমহাদেশে শান্তি ও মানবজাতির উন্নয়নের পথ রচনা করবেন”
ইমরান খানের টুইট বার্তাটি দেখুন
ইতিপূর্বে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনলাইনে একটি পিটিশন দাখিল হয়েছে এবং বহু মানুষও তাতে সাক্ষর করেছেন। পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ইমরান খান।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী চৌধুরি ফাওয়াদ হুসাইন পার্লামেন্টে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা হ্রাসে অগ্রণী ভূমিকার জন্য ইমরান খানের এ সম্মান প্রাপ্য।
ওদিকে, অনলাইনের পিটিশনে মানুষের স্বাক্ষর বাড়তে থাকার পাশাপাশি টুইটারে #নোবেলপ্রাইজফরইমরানখান নামে হ্যাশট্যাগও চালু হয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার মধ্যেই ইমরান খান টুইটারে তার ওই প্রতিক্রিয়া জানালেন।
প্রসঙ্গত : কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক-ভারত আকাশযুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানশসিত কাশ্মীরে ভূপাতিত হয় এবং এর উইং কমান্ডার অভিনন্দন আহত অবস্থায় ধরা পড়েন। শান্তির বার্তা দিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরদিনই এ ভারতীয় বৈমানিককে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দেন। শুক্রবার রাতে পাঞ্জাবের ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে অভিনন্দনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান।