

পাবলিক ভয়েস: যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘূর্ণঝড়ের আঘাতে শিশুসহ কমপক্ষে ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জনের বেশি মানুষ।
গতকাল রোববার আলাবামা অঙ্গরাজ্যের লি কাউন্টিতে এই ঝড় আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, আলাবামা ও এর আশপাশের মহান বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ, ‘দয়া করে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং নিরাপদে থাকুন।’
ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘ঈশ্বর আপনাদের সহায় হউন!’
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পর এর হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হন লি কাউন্টির শেরিফ জেই জোন্স। সেখানে তিনি বলেন, তারা এখনও ধ্বংসস্তুপ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এছাড়া এক টুইটবার্তায় রাজ্যের আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছেন আলাবামার গভর্নর কেই আইভেই।
এ সময় তিনি ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, লি কাউন্টিতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে হতহতের ঘটনায় আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
ওই ঝড়ে এলাকায় বহু ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকেই আলাবামা এবং জর্জিয়ার বিভিন্ন অংশে ঝড় আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেড়ে কাউন্টির ওপর আছড়ে পড়ার সময় বাতাসে এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল।
এদিকে, আলাবামার আবহাওয়াবিদ এরিক স্নিটিল এক টুইট বার্তায় বলেন, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যতজনের মৃত্যু হয়েছে, লি কাউন্টিতে একদিনের ঝড়েরর আঘাতেই তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। গতকাল রোববারের ওই ঘূর্ণিঝড়ের পর ১০ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, আলবামায় গত প্রায় ৮ বছর পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এর আগে ২০১১ সালে রাজ্যের তুসকালুসা-বার্মিংহ্যাম এলাকায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ২ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।