দুপুরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে কাদেরকে

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০১৯
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

পাবলিক ভয়েস: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। আজ সোমবার দুপুরেই তাকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুর পাঠানো হতে পারে।

আজ সকালে ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষে শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা শেষে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদল মতামত দেন গতকালের তুলনায় আজ ওবায়দুল কাদের শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তাই রোগীকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই। একই মতামত ব্যক্ত করেন বিএসএসএমইউর চিকিৎসকরা। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা গতকাল রাত থেকে ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। তার জ্ঞান ফিরেছে। কোনো প্রশ্ন করলে ইশারায় সায় দিচ্ছেন। এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে পোস্ট সিসিইউ ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ ইনফেকশন কন্ট্রোলসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবা জরুরি। এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা গ্রহণে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুসারে ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগবিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে দুপুর ১টায় ঢাকায় আসছেন। গতকাল থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিএসএমএমইউর হৃদরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.মোস্তফা জামান। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা শুনে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ আসতে রাজি হন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে আনার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়।

দেবী শেঠি এসে দেখার পর তিনি, বিএসএমএমইউ ও সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসবেন। ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সিঙ্গাপুর পাঠানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তবে একাধিক হৃদরোগবিশেষজ্ঞ বলেন, ‘হাসপাতাল অ্যাকুয়ারর্ড ইনফেকশন এড়াতে ও সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা উচিত। গতকাল শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল বলে তারা সিঙ্গাপুরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

তারা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম অর্থাৎ ইলেকট্রোরাল ইমব্যালান্স হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্রুত স্থানান্তরই শ্রেয়।’

মন্তব্য করুন