এক রত্নগর্ভা মায়ের ইন্তেকাল ; যার সব সন্তানই হাফেজ আলেম

প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০১৯

নকীব বিন মুজীব

আসাদুল্লাহ সুলতান ভাইয়ের শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান একজন পরহেজগার, আবেদা, সালেহা হওয়ার পাশাপাশি একজন রত্নগর্ভা সফল মা৷ চার ছেলে ও চার মেয়ে সকলেই আলেম হাফেজ মুফতী মুহাদ্দিস হওয়ার পিছনে এই মহান মহিয়সী নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ তিনি সন্তানদের তালীম তারবিয়াতের জন্য যেমন ছিলেন নিবেদিত প্রাণ, তেমনিভাবে যেকোন অন্যায় ও বদাভ্যাসের বিষয়ে ছিলেন খুবই কঠোর৷ নিজ সন্তান হোক আর নাতি নাতনী যেই হোক কোন অপরাধের বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় তার কাছে ছিল না৷

এই মহান মহিয়সী ছিলেন চাঁদপুর কচুয়া থানার ডুমুরিয়া গ্রামের মাওলানা সৈয়দ আহমাদ রহ, এর কন্য! আর এই সৈয়দ আহমাদ রহ. হচ্ছেন হযরত হোসাইন আহমাদ মাদানী ও হযরত থানবী রহ. এর সোহবতধণ্য মুরীদ ৷ মরহুমার প্রত্যেক সন্তানই আলেম, হাফেজ ৷

প্রথম সন্তান হাফেজ মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ উত্তরা দক্ষিণখান এক মাদরাসার মুহাদ্দিস ও পাশ্ববর্তী এক মসজিদের ইমাম ও খতীব৷

দ্বিতীয় সন্তান মাওলানা ইমদাদুল্লাহ চাঁদপুর মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতীব৷ তাবলীগের মুরুব্বী ও আহমাদীয়া মাদরাসার মুহতামিম৷

তৃতীয় সন্তান মুফতী নেয়ামাতুল্লাহ কাসেমী মিরপুর ১৩ দারুল উলূম মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মিরপুর ১৪ নেভী কলোনী জামে মসজিদের খতিব ৷

ছোট সন্তান মাওলানা আসাদুল্লাহ হবিগঞ্জের বাহুবল থানার হামিদনগর মাদরাসার মুহাদ্দিস ও পাশ্ববর্তী বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ৷

মরহুমার মেয়ের জামাতাগণও সবাই আলেম হাফেজ ৷ তারাও বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার খিদমতে নিয়োজিত আছেন ৷

এই রত্নগর্ভা মায়ের সন্তানদের পিতা হলেন জনাব হাজী স্যার সুলতান আহমাদ (বি, এস, সি,)৷ তিনি মতলব থানার আশ্বিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিদ্যালয়ে ৪০ বছর বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করেছেন ৷ বর্তমানে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজকেই নিজের যিন্দেগীর মাকসাদ বানিয়ে নিয়েছেন ৷ মরহুমার ছোট সন্তান মাওলানা আসাদুল্লাহ সুলতান তার মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।

মন্তব্য করুন