

ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার আশপাশে দেওবন্দ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থী পরিচয়ে তারা একটি আবাসিক ছাত্রাবাসে থাকলেও ভিসা এবং পাসপোর্ট না থাকায় তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের খবর অনুসারে জানা গেছে, তারা দুজন বাংলাদেশ থেকে দারুল উলুম দেওবন্দে পড়তে এসেছে কিন্তু তাদের কাছে পাসপোর্ট ভিসা না থাকায় তারা পুলিশের হাতে ধৃত হয়েছেন। তাদের দুজনের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি বলেও জানায় তারা।
পুলিশ বলছে, তারা শিক্ষার্থী পরিচয়ে একটি ছাত্রাবাসে অবস্থান করলেও ভিসা এবং পাসপোর্ট দেখাতে না পারায় আমরা তাদের গ্রেফতার করি। তাদের কোর্টে চালান করা হয়েছে এবং প্রয়োজন সাপেক্ষ রিমান্ডে নেওয়া হবে।
ইতোপূর্বে চারদিন আগে পাকিস্তানভিত্তিক বিদ্রোহী সংগঠন জইশ-ই মুহাম্মদের সঙ্গে জড়িত থাকায় ২ জনকে আটক করে উত্তরপ্রদেশ এন্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। সেই অভিযানের প্রেক্ষিতে দেওবন্দে অবস্থিত ছাত্রাবাসগুলোতেও নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে পুলিশ। সামান্য অযুহাতেও গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে মুসলিম শিক্ষার্থীদের।
এর আগে, সাহারানপুর এলাকা থেকেও কথিত জঙ্গি সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ এন্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। সেখানে আটক শাহনেওয়াজ আহমেদ ও আকিব আহমেদ মালিক জঙ্গি দলে রিক্রুটার হিসেবে কাজ করত বলে পুলিশ দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত : গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ৪৯ জন সদস্য নিহত হয়েছে। সে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঈশ-ই-মুহাম্মদ নামের পাকিস্তানভিত্তিক একটি মুসলিম সংগঠন। এ নিয়ে ভারতজুড়ে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে এবং মুসলিমদের প্রতি বিশেষ নজরদারি শুরু হয়। এমনকি এ হামলার পর থেকে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস