

বিশেষ সংবাদ-
দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে শেষ হলো কাকরাইল মারকাজ ও উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা’১৯-এর আখেরি মোনাজাত। আজ শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে মোনাজাত শেষ হয় ১১ টা ৬ মিনিটে।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের শীর্ষ মুরব্বী ও বাংলাদেশের তাবলিগের শুরা প্রধান হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।। মোনাজাতে লাখো লাখো মুসল্লীয়ানে কেরাম অংশগ্রহন করেন।
এর আগে শুক্রবার আম ও খাস বয়ান, তালিম ও তাশকিল, নামাজ-কালাম ও জিকির-আযকারের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগতীরে কাটল বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিন।
এদিন জুমার জামাতে শরিক হন কয়েক লাখ মুসল্লিয়ানে কেরাম। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা, বাড়িঘর, দোকানপাট এমনকি নদী ও সড়কে বিভিন্ন যানবাহনেও শরিক হন জুমার জামাতে। কাকরাইল মারকাজের শীর্ষ মুরব্বী ও বাংলাদেশের তাবলীগের শুরা প্রধান হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ পবিত্র সালাতুল জুমআর জামাতের ইমামতি করেন।
এবারের ইজতেমায় অনেক বিদেশে শীর্ষ আলেম মুরব্বী অংশ নিয়েছেন। ভারতের তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বী মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা ইবরাহিম দেওলা ও মাওলানা জুহাইরুল ইসলাম অংশ নেন। সৌদি আরবের শুরা সদস্য শেখ গাসসানও এবার ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমা সূত্রে জানা যায়, আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি।
এছাড়া বিশ্ব ইজতেমার আগে বিশেষ জোড় অনুষ্ঠিত হবে ২৯ নভেম্বর। ৫ দিনের এ জোড় শেষ হবে ৩ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য যে, আজকের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মুনাজাতে অংশ নিতে ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী দলে দলে আসতে থাকে টঙ্গী ইজতেমা মাঠের দিকে। ফলে গাজীপুর ও ঢাকার উত্তরাসহ আশপাশের রাস্তা অলিগলি লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
এবারের বিশ্ব ইজতিমায় অংশ নেন দেশ বিদেশের লাখো মুসুল্লীদের সাথে বাংলাদেশ কওমী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তাবলীগ জামাতের শুরা উপদেষ্টাদের মধ্যে আল্লামা মাহমূদুল হাসান, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা আ: কুদ্দুস, আল্লামা আ: মালেক, এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার আল্লামা আনোয়ার শাহ এবং দেশের শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ।
উল্লেখ্য যে, শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে এর আগেরদিন বৃহস্পতিবার আসরের পরই শুরু হয়েছিল ইজতেমার কার্যক্রম।