দেওবন্দে মাওলানা আরশাদ মাদানীর সাথে বৈঠক করলেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভী

প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
দেওবন্দে মাওলানা আরশাদ মাদানীর সাথে বৈঠক করলেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভী

দারুল উলুম দেওবন্দের সদরে মুদাররিস ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান ব্যক্তি, উপমহাদেশের প্রভাবশালী আলেম মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানীর সাথে একান্ত বৈঠক করেছেন দাওয়াত ও তাবলীগের মারকায দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদের প্রধান ব্যক্তি ও তাবলীগের মুরুব্বি মাওলানা সা’দ কান্ধলভী।

আজ ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে দারুল উলূম দেওবন্দে মাওলানা আরশাদ মাদানীর কক্ষে এই একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে মাওলানা আরশাদ মাদানী ও সা’দ কান্ধলভী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের রুকনে শুরা মাওলানা আব্দুল আলীম ফারুকী ও নিজামউদ্দিন মারকাযের আরও কয়েকজন মুরুব্বি ও দারুল উলূম দেওবন্দের সিনিয়র উস্তাদগন।

বিষয়টি মাওলানা আরশাদ মাদানীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়টি দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে পুরোপুরি প্রকাশ করার আগে বিস্তারিত তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।

  • তবে ইতিমধ্যেই এই সাক্ষাতটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পথে। কারণ এ বৈঠককে তাবলীগ ও দেওবন্দ প্রেমীরা দারুল উলূম দেওবন্দ ও দিল্লির নিজাম উদ্দিনের মধ্যাকার দূরত্ব দূর হওয়ার মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। একই সাথে তাবলীগের মধ্যে বিদ্ধমান মতপার্থক্য দূর হওয়ারও একটি আভাস হিসেবে দেখছেন সকলে।

কারণ মাওলানা আরশাদ মাদানী গত কয়েকদিন আগে দাওয়াত ও তাবলীগের অপর একজন মুরুব্বী মাওলানা আহমদ লাট সাহেবের সাথেও দেখা করেছেন।

এর কয়েকদিন পরই মাওলানা সাদ কান্ধলভীর সাথে মাওলানা আরশাদ মাদানীর বৈঠক এ কথার প্রমাণ করে যে, মাওলানা আরশাদ মাদানী চাচ্ছেন তাবলীগের মধ্যকার বিভেদ দূর করে একত্রিত হয়ে দাওয়াতের কাজ চলমান রাখার পথ পরিস্কার করতে।

এমন কিছু হলে অর্থাত উপমহাদেশের এই বৃহত্তর দাওয়াতি জামায়াত তাবলীগের মধ্যাকার বিভেদ দূর হলে মুসলিম উম্মাহ বিশাল উপকৃত হবে।

প্রসঙ্গত : দাওয়াত ও তাবলীগের মুরুব্বী মাওলানা সাদ কান্ধলভীর কিছু বিতর্কিত ভূমিকা ও বিতর্কিত আলোচনার কারণে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ওলামায়ে কেরামদের দল দারুল উলুম দেওবন্দ অনুসারীদের মধ্যে একটি ঘোষিত দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

এই দূরত্বের কারণে আলেমদের সাথে সাধারণ তাবলীগ অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছিল। যা নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে মারামারি ও রক্তারক্তি পর্যায়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।

যে কারণে বর্তমানে তাবলীগের মধ্যে দুই ধারা বিদ্যমান যা সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই উভয় গ্রুপের সমস্যা দূর করে তারা যদি এক প্লাটফর্মে এসে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করে তাহলে উপমহাদেশে ইসলাম দাওয়াতের কাজ আরো বেশি বেগবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা

অনেকেই বলছেন – বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামগণও এটাই চাচ্ছিলেন যে, মাওলানা সাদ কান্ধলভী সাহেব আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দের সাথে সম্পর্ক উষ্ণ করুক এবং বিদ্ধমান দূরত্ব দূর করে দাওয়াতি কাজ করুক।

শ্রুতিলিখন : পাবলিক ভয়েস ডেস্ক।
সম্পাদনা ও বিন্যাস : হাছিব আর রহমান।

ভিডিও দেখুন :

মন্তব্য করুন