

পাবলিক ভয়েস: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলোচিত পাথর ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৬(২)/২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
লিয়াকত আলী আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জৈন্তাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। যদিও আ.লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ থেকে লিয়াকত আলীসহ সিলেটের ছয় আ.লীগ নেতাকে রাজাকারপুত্র হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন না দেয়ার দাবি জানিয়েছিল সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল আ.লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরিত ই-মেইল বার্তায় বলেন, ‘জৈন্তাপুর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী জৈন্তাপুর এলাকার কুখ্যাত রাজাকার ওয়াজিদ আলী টেনাইর পুত্র।’ কিন্তু এর একদিন পর আ.লীগ লিয়াকতকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করে তালিকা প্রকাশ করে।
লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে জাফলংয়ের দুটি নদী ধ্বংস করা, পাথর কোয়ারি দখলে নিতে খুনের মামলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, লিয়াকত আলীর দেয়া হিসাবের বাইরে লিয়াকত আলী আয় বহির্ভূতভাবে দুই কোটি ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ২৩১ টাকা ২৬ পয়সার সন্ধান পেয়েছে দুদক। এসব টাকা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
রমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে আসামি লিয়াকত আলীর সম্পদ অনুসন্ধান করে। প্রাথমিকভাবে তারা তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পেয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান থানায় লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা( পিআরও) প্রণব কুমার ভট্রাচার্য বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই লিয়াকত আলীর অঢেল সম্পদের অনুসন্ধান চালিয়েছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে তার দেয়া হিসাবের বাইরে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ২৩১.২৬ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক।