৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই: বিআরটিএ

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ৫৬ শতাংশের গতি নিয়ন্ত্রক সিল ঠিক নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে ৩৯টি বাসের ওপর জরিপ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে কমিটি গঠন করে বিআরটিএ। যানবাহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

বিআরটিএর পক্ষে প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

জরিপের সীমাবদ্ধতা হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিটি কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত সময় ও স্থান অনুযায়ী সার্ভে করা হয়।

ধারণা করা হয়, সার্ভের বিষয়টি কোনো না কোনোভাবে প্রকাশ হওয়ায় অনেক যানবাহন (সম্ভবত খারাপ) সংশ্লিষ্ট স্থান ও সময় এড়িয়ে চলেছে।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি প্রতিরোধে, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে আনফিট বা ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সমস্যার ব্যাপকতা ও তার মাত্রা বোঝার জন্য যানবাহনের বিশেষ করে গণপরিবহনের ওপর বিজ্ঞানভিত্তিক সার্ভে পরিচালনা করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে কোনো বিশেষায়িত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা করা যেতে পারে।

আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, এর আগে হাইকোর্ট ১৬ সদস্যের একটি কমিটি করে জাতীয়ভাবে সারা দেশের পরিবহনগুলোর ওপর একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ এমন একটি প্রতিবেদন বিআরটিএ আদালতে দাখিল করেছেন।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস নেই এবং ৫৬ শতাংশ বাসের গতি নিয়ন্ত্রক সার্টিফিকেট নেই। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধের কারণ ও রোধের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত একটি পর্যবেক্ষণ করতেও প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিবের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের দ্বারা কমপক্ষে ১৫ সদস্যের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।

পরে ওই কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

মন্তব্য করুন