সংসদে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মিথ্যাচার দুর্ভাগ্যজনক : সৈয়দ রেজাউল করীম

প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সম্প্রতি জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অসত্য ভাষণ দুর্ভাগ্যজনক। এহেন জঘন্য নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী সফল বলায় দেশবাসী চরমভাবে হতাশ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্টের কাছে নতুন নির্বাচন চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। অথচ প্রেসিডেন্টও বিতর্কিত সংসদে উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে আমাদেরকে হতাশ করেছে। তিনি বলেন, যে সংসদ গঠিতই হয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে সে সংসদের কাছে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার শ্লোগান হাস্যকর। বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে বিতর্কিত এই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।

গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় তিনি পাটকল শ্রমিক জাহলম বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই বিনা অপরাধে তিন বছর কারাবাস করতে হয়েছে পাটকলশ্রমিক জাহালমকে। যদিও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে জাহালম মুক্তি পেয়েছে। তিনি বলেন, জাহালমের জীবন থেকে মহামূল্যবান তিনটি বছর নষ্ট হওয়ায় অবিলম্বে তাঁকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

সৈয়দ রেজাউল করীম আরো বলেন, নিরপরাধ জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ এবং ভুল তদন্তে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আদালত ন্যায়বিচারের গুরুতর বিচ্যুতির অবসান ঘটিয়েছেন।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁকে অবিলম্বে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যদিও জাহালমকে যে অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তার প্রকৃত ক্ষতিপূরণ কখনোই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এতে করে কমিশনের প্রতি দেশের জনগণের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই কীভাবে এই ঘটনা সংঘটিত হলো, কারা জড়িত ছিলেন, কেন এমন ভুল তাঁরা করলেন, নাকি প্রকৃত অপরাধীর সঙ্গে যোগসাজশে তাঁরা এই জালিয়াতিতে অংশগ্রহণ করেছেন এসব বিষয়ই তদন্ত করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, দুদক যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করে তদন্তের ফলাফল ও তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ গৃহীত হলো, সে সম্পর্কে দেশের জনগণকে অবহিত করবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের অবিচার আর কারও সঙ্গে না হয়। জাহালমের মতো আর কেউ যেন বিনা বিচারে কারভোগ করতে না হয়।
নোয়াখালীর মাইজদীস্থ জেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিতত্ব করেন জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা নজির আহমদ। জেলা নেতৃবৃন্দ, সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন