

পাবলিক ভয়েস: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক আর নেই।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জেলা আ.লীগের উপ-দফতর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর রাজশাহী উপ-শহরের বাড়ি থেকে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক ১৯৯১ সালে রাজশাহী-৫ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। নৌকা না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হননি।
পেশায় আইনজীবী তাজুল ফারুকের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬৬ সালে পাবনার ঈশ্বরদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৬৮ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৬৯ এর দুর্বার গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
তাজুল ফারুক ১৯৭৪ সালে মূল সংগঠন আ.লীগের স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বে আসেন। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের দুঃসময়ে কাজ করেন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি আ.লীগের সমর্থনের দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরের বছরই নির্বাচিত হন এমপি। এরই মধ্যে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপরের বছরই নির্বাচিত হন সভাপতি।
বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা আ.লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ।