দখলদার ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না কাতার, জানালো কারণ

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২১

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেয়া এবং দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা আবারো উড়িয়ে দিয়েছে কাতার। তেল আবিবের সঙ্গে কুয়েত সম্পর্ক স্থাপন না করার ঘোষণা দেয়ার কয়েক দিনের মাথায় বিষয়টি স্পষ্ট করলো দোহা।

শুক্রবার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনবিসিতে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শেখ আব্দুর রহমান বিন আল থানির একটি ​সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করা হয়। তাতে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্বের কারণে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি এতদিনেও।

এই দখলদারিত্ব এবং কয়েক দশকের চলামান সংঘাত বন্ধ না করা পর্যন্ত তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না দোহা। এ কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ আব্দুর রহমান বিন আল থানি বলেন, যুগের পর যুগ ধরে চলা এই সমস্যা কেবল ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হলেই সমাধান হয়ে যাবে না।

আরও পড়ুন-

হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে পারেনি ইহুদিরা: হামাস প্রধান
দখলদার ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না কাতার, জানালো কারণ
সামুদ্রিক শ্লেষ্মার প্রাদুর্ভাব মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি এরদোগানের
আল জাজিরার নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল
বেঁচে আছেন বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা জাওয়াহিরি!

এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তেল আবিব কোনো পদক্ষেপ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা শিগগিরই আলোচনায় বসছে, এমন কোনো আভাসও পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ২৮ মে ইসরায়েলকে সতর্ক করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের সন্তুষ্ট করার মতো পদক্ষেপ নিতে তারা যতদিন ব্যর্থ হবে, ততদিন আমাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক কোনো দিন স্থাপন করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলছে তেল আবিবের। তা সত্ত্বেও আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে তাদের।

পার্সটুডে জানায়, সদ্য সমাপ্ত গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল-হামাস অস্ত্রিবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখে কাতার। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সংকট সমাধানেও মধ্যস্থতা করতে আগ্রহের বিষয়টি ফের সামনে এনেছে দেশটি।

প্রসঙ্গত, গত ১০ মে থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ দিনে ৬৯ শিশুসহ অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি। এর বিপরীতে হামাসসহ অন্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৪ ইসরায়েলি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন।

উভয় পক্ষের মধ্যে গত ২১ মে থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এক সপ্তাহ পূর্ণ না হতেই পশ্চিম তীরের বেথেলহেমে ৫৬০টি অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে তেল আবিব। বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেমসহ অবৈধ বসতিতে সাড়ে ৪ লাখের বেশি ইসরায়েলি বসবাস করছে।

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন