গুজরাটের করোনা সেন্টারে রোগীদের খাওয়ানো হচ্ছে গোমূত্র

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১

ভারতের গুজরাটের বনষ্কণ্ঠ জেলার তেতোড়া গ্রামের এক গোয়ালে কভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। গোটা ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে গুজরাটেও।

রাজ্যটিতে লাফিয়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণে হাসপাতালে বেডসংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে এবার এই গোয়ালে খোলা হয়েছে এই করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র।

এখানে অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ওষুধও দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। যা কি না তৈরি হয়েছে গরুর দুধ ও গোমূত্র থেকে।

‘বেদলক্ষণ পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদ কভিড আইসোলেশন সেন্টার’ নামের এই কেন্দ্রটি রাজারাম গোশালা আশ্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

গত ৫ থেকে এই কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে। তবে শুধু মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা হচ্ছে এখানে।

এখানকার চিকিৎসাপদ্ধতি প্রসঙ্গে ‘গোধাম মহাতীর্থ পথমেদা’র শাখা বনষ্কণ্ঠের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহন যাদব জানান, ‘এখানে আমরা মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছি। রোগীদের আট রকম আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি তৈরি হয়েছে দুধ, ঘি ও গোমূত্র দিয়ে।’

ঠিক কী ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এ প্রসঙ্গে মোহন যাদব জানান, পঞ্চগব্য আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ছাড়াও তাঁরা ‘গৌতীর্থ’-ও ব্যবহার করছেন।

এই গৌতীর্থ তৈরি হয় দেশি গরুর মূত্র থেকে। তাছাড়া থাকে আরও নানা উপাদান।

এছাড়া কাশির চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে তাও তৈরি গোমূত্র থেকে। পাশাপাশি গরুর দুধ থেকে তৈরি এক বিশেষ ধরনের ‘চ্যবনপ্রাশ’ও দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।

এই আইসোলেশন সেন্টারে দু’জন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছাড়াও রয়েছেন দু’জন এমবিবিএস চিকিৎসক। কভিড লক্ষণ থাকা গ্রামবাসীকে এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে বিনা মূল্যে। আপাতত এখানে রয়েছেন ৭ জন রোগী।

বনষ্কণ্ঠ জেলার কালেক্টর আনন্দ প্যাটেল জানিয়েছেন, গোশালার ভিতরে কভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করার আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েছিল ওই গোশালাটি।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম বার নয়। এর আগেও করোনা সারাতে গোমূত্রের নিদান দিতে দেখা গিয়েছে। খাস উত্তর কলকাতাতেই গত বছর গোমূত্র পানকেন্দ্র খোলা হয়েছিল।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বৈরিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। এই শক্তি তিনি পান নিয়মিত গোমূত্র পানের ফলে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আইএ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন