মুনিয়ার পরিবারকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া, আড়ালে থেকে যাচ্ছেন সায়েম

প্রকাশিত: ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০২১

মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে তাকে নিয়ে আলোচনায় মনোযোগ বেশি দেওয়া হচ্ছে। টানাহ্যাঁচড়া হচ্ছে পরিবারকে নিয়েও। মৃত্যুর ১১ দিন পরও অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ না করাটা হতাশার। 

শুক্রবার মোসারাতের বোন ও মামলার বাদী নুসরাত জাহান  এসব কথা বলেন।

গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাতের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মোসারাতের বোন নুসরাত বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। ওই মামলায় একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

গণমাধ্যমগুলো মুনিয়াকে নিয়েই পড়ে আছে। এদিকে আড়ালে থেকে যাচ্ছেন সায়েম সোবহান। এমনকি অনেক গণমাধ্যমই তার নাম নিচ্ছেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে। এখন চলছে আলোচনা সমালোচনা।

গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গুলশানের ফ্ল্যাটে গিয়েই পুলিশ আঁচ করতে পারে, মোসারাতের মৃত্যুর পেছনে ‘বড় প্ররোচনা’ আছে। তাঁরা ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

মোসারাতের বোন বলেন, পুলিশ নিজেই বলছে আত্মহত্যায় বড় প্ররোচনা আছে, কিন্তু প্ররোচনাকারীকে এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এমন কোনো খবর তার কাছে নেই। তবে বুধবার তাঁকে আবারও পুলিশ ঢাকায় ডেকে পাঠায়।

তিনি ও তার এক আত্মীয় কী ঘটেছিল তা পুলিশকে জানান। পুলিশ তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছে। বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করে পুলিশ জানতে চেয়েছে মোসারাত তাঁকে চিনতেন কি না।

নুসরাত দুঃখ করে বলেন, ‘কবরে কে পাঠাল সে নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। আলোচনা ষষ্ঠ শ্রেণিতে মুনিয়া কী করেছিল, দশমে কী, মৃত্যুর আগে কী। আমিও বাদ যাচ্ছি না। এসব আলোচনা কি এই মামলায় কোনো কাজে আসবে?’

যেদিন নুসরাতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, ওই দিনই ফ্ল্যাটটির মালিক ইব্রাহীম রিপন ও শারমিন শাহেদকে পুলিশ ডেকে পাঠিয়েছিল। তবে আসামির বাইরে এজাহারে নাম আসা পিয়াসাকে কিংবা হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর সঙ্গে পুলিশ কথা বলেনি। এই দুজনই জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত আছেন।

মোসারাতের মৃতদেহ উদ্ধারের পর, দিন তিনেক এই ইস্যুতে পুলিশ কথা বললেও এক সপ্তাহ ধরে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ফলে পুলিশের দিক থেকে মামলার অগ্রগতি কতটুকু, সে সম্পর্কে জানা যায়নি।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে তাঁরা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছেন। মুনিয়ার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানার জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে। প্রথম আলো

আরও পড়ুন-

দেশ ছেড়েছেন আনভীরের স্ত্রী, চেষ্টা করেছিলেন তিনিও

বিয়ে ছাড়াই মুনিয়ার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যেতেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি

‘হুজুর হলে সায়েমের বিরুদ্ধে হুমড়ি খেয়ে পড়তো মিডিয়াগুলো’

অভিমান ভুলে হিন্দুদের সৎকার করছেন ভারতের মুসলিমরা

নিরীহ আলেমদের মুক্তি দিন: আল্লামা মাহমুদুল হাসান

সরকারের উচ্চ মহলে সহানুভূতি প্রত্যাশা করেছে আনভীরের পরিবার

‘আনভীররা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় অভিশাপ’

লাখ টাকার ফ্ল্যাট থেকে কবরস্থানে আনভীরের দেহরক্ষীতা মুনিয়া

পাবলিক ভয়েসের রিপোর্টের পর টনক নড়ল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা

দেহ ভোগ ছাড়া মুনিয়ার বিষয়ে কোনও গুরুত্ব দিতেন না আনভীর

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুনিয়ার জন্য কোনও বিবৃতি নেই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের

মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে: মিজানুর রহমান

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সায়েম-মুনিয়ার ফোনালাপ

বসুন্ধরার নাম নিতে এতো কষ্ট কেনো মিডিয়াগুলোর: ব্যারিস্টার সুমন

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তো মুনিয়া: বড় বোন

তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ‘বসুন্ধরা’র এমডির বিরুদ্ধে মামলা

আই.এ/

মন্তব্য করুন