“ক্লিন সিলেট” গড়তে কঠোর অবস্থানে সিসিক মেয়র আরিফুল হক

প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: সিলেট নগরীকে ঝঞ্জালমুক্ত করতে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেল সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। “ক্লিন সিলেট” গড়তে নিয়মিত অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার যেন একটু কঠোর অবস্থান নিয়ে মাঠে নেমেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দিন কি রাত ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নগরবাসীকে একটি সুন্দর, পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন সিলেট নগরী উপহার দেওয়ার জন্য।

এরই ধারাবাহিকতায় মেয়রের নেতৃত্বে গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ৩টি সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এতে উচ্ছেদ হয়েছে বেশ কিছু ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়ি ও অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে বসা দোকানপাটের বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম। সেই সাথে হকারদের বেশ কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ক্লিন সিলেট’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর নির্বাচিত হয়ে সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন সিলেটের এই জনপ্রিয় নগরপিতা।

এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে নগরীতে সাঁড়াশি অভিযানে নামেন মেয়র আরিফ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে থেকে অভিযান শুরু করে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টার দিকে এগিয়ে যান মেয়র আরিফ। এরপর চৌহাট্টা থেকে রিকাবীবাজার, লামাবাজার সুরমা মার্কেট হয়ে অভিযান চলে ক্বিন ব্রিজ পর্যন্ত। সেই সাথে পথের মাঝে, পথের পাশে, দোকানঘরের সামনের যত জঞ্জাল সব সরিয়ে নেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
এসময় দোকানের সামনে থেকে টাঙ্গানো রাস্তার উপরে চলে আসা সব সামিয়ানা খুলে ফেলা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অবৈধভাবে বানানো সব টং দোকান। অভিযানকালে রাস্তা থেকে ৬০ টির মতো ভ্যানগাড়ি ও অন্তত দেড় শতাধিক অবৈধ দোকানের সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
শুক্রবার মাঝরাতে অভিযানের পরই শনিবার বিকেলে আবার নগরীতে সাঁড়াশি অভিযান চালান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এসময় সিটি মেয়রের সাথে অভিযানে যোগ দেয় সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। এসময় তারা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে থেকে অভিযান শুরু করে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টার দিকে এগিয়ে যান। এরপর চৌহাট্টা থেকে রিকাবীবাজার, লামাবাজার সুরমা মার্কেট হয়ে অভিযান চলে ক্বিন ব্রিজ পর্যন্ত।
জানা গেছে- আগের রাতে অভিযানের ‘ফলোআপ’ হিসেবে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে পুনরায় তারা নগরীজুড়ে যৌথ অভিযানে নামেন। তবে বিকেলের এ অভিযানে শুধু উচ্ছেদই না, এর সাথে অবৈধভাবে রাস্তা জুড়ে পশরা সাজিয়ে বসা হকারদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিকেল ৩ টার আগে রাস্তা কিংবা ফুটপাত দখল করে কোনো ধরণের ব্যবসা করা যাবে না। বিকেল ৩ টার পর জেলা প্রশাসন ও আদালত চত্বরের সীমানা প্রাচীর ঘেরা ফুটপাতসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছাড়া বাকি জায়গার ফুটপাতে বসে ‘আপাতত’ ব্যবসা করা গেলেও বিকেল ৩ টার পরও কোনোভাবে রাস্তায় বসে ব্যবসা করা যাবে না। পরবর্তীতে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসনসহ সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শনিবার বিকেলের এ অভিযানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) নিকুলিন চাকমা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শনিবার বিকেলে অভিযানের পর রাতে ১১ টার দিকে নগরীর আম্বরখানা এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আবারো অভিযান চালিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে আম্বরখানা চায়না মার্কেটের সামনে এ অভিযান চালানো হয়।

এসময় আম্বরখানা মসজিদ সংলগ্ন চায়না মার্কেটের সামনে অবস্থিত বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় পথের মাঝে, পথের পাশে, দোকানঘরের সামনের যত জঞ্জাল সব সরিয়ে নেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
এছাড়া বিভিন্ন দোকানের সামনে স্থাপিত অবৈধ ব্যানার-ফেস্টুন, সাইনবোর্ড অপসারণসহ দোকানগুলোর বর্ধিতাংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়।

মন্তব্য করুন