

পাবলিক ভয়েস: ভারতের দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়ে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত হয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা সৈয়দ সাইমুন কনক। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ডুয়ার্সে বাতাবেড়ি মূর্তি নদীর কাছে জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।
কনক জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত নূর আলম জিকুর বড় ছেলে। এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে বেড়াতে যান তিনি।
নাগরিক কোলাহল থেকে বহুদূরে গিয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে চেয়েছিলেন সৈয়দ সাইমুন কনক। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কি জানতেন যে, নিষ্ঠুর নিয়তি তাকে অকালে এভাবেই নিয়ে যাবে পরপারে।
গত ২০ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন- ‘চললাম—নাগরিক কোলাহল থেকে বহুদূরে ডুয়ার্সের পাহাড় আর জঙ্গলে। স্ত্রীর সঙ্গে দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি ছবিও তিনি ফেসবুকে আপলোড করেন।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভারতের দার্জিলিং জেলার ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়ে বন্য হাতির আক্রমণে অকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত নূর আলম জিকুর বড় ছেলে সৈয়দ সাইমুন কনক। এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি।
কনকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি আলহাজ গোলাম মহসীন। কুমারখালী জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস কনকের স্ত্রী মালা সাইমুনের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল শনিবার সকালে কনকের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজই মরদেহ বিমানযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে এবং জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকাতেই দাফন করার কথা রয়েছে।
সাইমুন কনক ব্যক্তিজীবনে এক সন্তানের জনক। তার একমাত্র ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অনার্সের ছাত্র। কনক পুরান ঢাকার সদরঘাট-ওয়াইজঘাট এলাকার নবাববাড়ি সংলগ্ন পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করতেন।