রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। তারা বলেছে,’অন্যায়, অনিয়ম ও নিয়োগবাণিজ্য অপরাধে রাবি উপাচার্যের বিবেক লোপ পেয়েছে’।

রোববার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের একাংশ।

মানববন্ধনে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে কখনও স্বৈরশাসকরা দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে নি। দেশের সাধারণ মানুষেরা সৈরাচার এবং দুর্নীতিবাজদের পদদলিত করেছে। আমরা চাই রাবি প্রশাসনকে নিয়ে এত প্রশ্ন থাকার পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁর সম্মানিত চেয়ারকে আর অপমানিত করবেন না। উপাচার্যের এখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার সময় এসেছে।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ বলেন, ‘আমরা দুই বছর ধরে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। চিহ্নিত দূর্নীতিবাজরা লাজ-লজ্জা ত্যাগ করে ক্যাম্পাসে বিচরণ করছে। প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।ইউজিসির তদন্তে যে অভিযোগগুলো উঠে এসেছে, উপাচার্যের সেগুলোর জবাব দেয়ার ক্ষমতা নেই। উল্টো গোপনে গোপনে আরও দূর্নীতির প্রক্রিয়া চলছে। এসব দূর্নীতি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির অবস্থান দূর্বল করছে। আমরা আজকের অবস্থান থেকে দূর্নীতিবাজ প্রশাসনের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।’

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সিন্ডিকেটে যারা আছেন তাদের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে যেই সিন্ডিকেট নিয়ে বিভিন্ন ধরণের সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছেন, সেই সিন্ডিকেটের মূলত নৈতিক অধিকার নেই এসকল সিদ্ধান্ত নেয়ার। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে ছয়জন নির্বাচিত প্রতিনিধি সিন্ডিকেটে নেই। মূলত এটি একটি অপূর্ণাঙ্গ সিন্ডিকেট।’ এসময় তিনি অতিসত্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রশাসনের অপসারণের দাবি জানান।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পুরনজিত মহালদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।#

মন্তব্য করুন