

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দু’দিনের কর্মবিরতির কারণে বিপাকে পড়েছে খুলনার ধান-চাল ব্যবসায়ীরা। এতে হঠাৎ করেই খুলনার বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির শঙ্কা করছেন ক্রেতারা। এদিকে শ্রমিক সংগঠন কর্তৃক বন্ধের সিদ্ধান্তে খুলনা ধান চাল বণিক সমিতির পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪ টায় খুলনা ধান চাল বণিক সমিতির অফিসে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়-শ্রমিক সংগঠনের হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহবান জানান। একইসাথে জেলা প্রশাসক, মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সমিতির সভাপতি মোঃ মুনীর আহমেদের সভাপতিতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মোহায়মেনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন- ফারুক শেখ, মাসুদ হাওলাদার, আলামিন, আঃ হামিদ, আঃ মোহায়মেন, বিপুল দাশ, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, গোপাল সাহা, বিদ্যুত দাস, গোলাম মোস্তফা ও বাসুদেব কুন্ডু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, খুলনা ধান চাল বণিক সমিতির সাথে খুলনা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং-১২১২) সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান চলে আসলেও কিছু অতি উৎসাহী শ্রমিকের ইন্ধনে হঠাৎ করে কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার অর্ধদিবস এবং আজ বুধবার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করে। এতে খুলনার চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। চালের বাজার বৃদ্ধিরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অযাচিত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহবান জানান।
এদিকে শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে জানা যায় চাল শ্রমিকদের যে রেট চার্ট ছিল সেটা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, বর্তমান বাজার অনুযায়ী এই দর চলে না, আমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে আমাদের দাবি তুলেছি, দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে, আমরা আজ বুধবার বিকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে চাল আমদানি এবং রপ্তানি করেছি, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবেনা।