

জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ’র শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানা যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড পেইজে একটি স্ট্যাটাসে শায়খ আহমাদুল্লাহর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সকলের কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। ফেসবুকের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
শায়খ আহমাদুল্লাহর বর্তমান অবস্থা
আপনাদের সবার প্রিয় শায়খ আহমাদুল্লাহ কয়দিন যাবত অসুস্থবোধ করছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতার তীব্রতা অনুভব করেন।
রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থা গুরুতর হলে রাত ৩:০০ টায় তাঁকে ঢাকার পান্থপথের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকগণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই তাঁর শরীর থেকে কোভিড টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। টেস্টে তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন। তিনি যেন শিগগিরই আমাদের মাঝে সুস্থ শরীরে ফিরে আসতে পারেন এবং দ্বীন ও উম্মাহর খেদমতে পূর্বের মতো পূর্ণোদ্যমে আত্মনিয়োগ করতে পারেন। — অ্যাডমিন।
আজ শুক্রবার সকালে শায়খ আহমাদুল্লাহর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সর্বশেষ পোস্টে তাঁর অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান জানানো হয়।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘কেউ যদি কোনোভাবে হাসপাতালের নাম জেনে থাকেন, আপনাদের নিকট আমাদের অনুরোধ, আপনারা হাসপাতালে ভিড় করবেন না এবং অন্যদের হাসপাতালের নাম-ঠিকানা জানাবেন না। সবার নিকট আমাদের কামনা, সবাই আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়খের জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন সুস্থ-সবল দেহ-মন নিয়ে শিগগির আমাদের মাঝে ফিরে এসে দ্বীনি কাজে আত্মনিয়োগ করতে পারেন।’
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮১ লক্ষ্মীপুরে জন্ম নেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে খুলনা দারুল উলুম থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। লেখাপড়া শেষ করে মিরপুরের দারুর রাশাদে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন। এক বছর মিরপুরের আরজাবাদ মাদ্রাসায়ও শিক্ষকতা করেছেন। পাশাপাশি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মিরপুরের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে।
আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতার কারণে ২০০৯ সালে সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামিক দাওয়াহ সেন্টারে যোগ দেন। একজন দায়ি ও অনুবাদক হিসেবে সেখানে দীর্ঘ ৯ বছর কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ এনটিভিসহ দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানে নিয়মিত কথা বলে থাকেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব। পাশাপাশি ভূমিপল্লীর একটি মাদ্রাসার পরিচালনার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি।