তুরস্ককে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইইউ: কারও নিষেধ মানবেন না এরদোগান

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের উপর এবার নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা আরও জোরদার করা হচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হতে পারে।

গত অগাস্ট মাস থেকে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে বিতর্ক চলছে। ভূমধ্যসাগরের একটি অংশে খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে। কিভাবে সেই উত্তোলন করা সম্ভব তা দেখার জন্য সেখানে জাহাজ পাঠিয়েছে আঙ্কারা। যদিও গ্রিসের দাবি, বিতর্কিত সেই এলাকাটি মূলত তাদের। ফলে দ্রুত তুরস্ককে জাহাজ সরিয়ে নিতে বলে তারা।

গত চার মাসে তুরস্ক একবারই কেবল ভূমধ্যসাগরের ওই এলাকা থেকে জাহাজ সরিয়েছিল। যদিও এরপর আবার তারা সেখানে জাহাজ পাঠায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান জানিয়েছিলেন, তেল উত্তোলনের পরীক্ষা জারি থাকবে। কারও নিষেধ তুরস্ক মানবে না, কারণ ওই এলাকা গ্রিসের নয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই এই বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছে। গ্রিসের পাশাপাশি তারাও তুরস্ককে জাহাজ সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তুরস্ক তাতে কান দেয়নি। ইইউ চেষ্টা করেছিল গ্রিস, তুরস্ক এবং সাইপ্রাসকে একসঙ্গে বসিয়ে বৈঠক করার। কিন্তু তাও সফল হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতেই সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেখানে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইস্যুতে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, তুরস্ক যে আচরণ করছে, তাতে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা না চাপিয়ে আর কোনো উপায় নেই। আগামী ১০ তারিখ ফের বৈঠকে বসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হতে পারে। ফ্রান্সও চাইছে ইইউ তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক।

নিষেধাজ্ঞা চাপলে তুরস্কের সঙ্গে অস্ত্রের ব্যবসা বন্ধ হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। তেল এবং খনিজের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান অবশ্য সোমবারই বলেছেন, গ্রিসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে তিনি রাজি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিষয়টিকে অন্ধের মতো দেখছে বলে দাবি তার। তুর্কি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, বিতর্কটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আচরণ করছে, তা আশাব্যঞ্জক নয়।

মন্তব্য করুন