নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুজন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২০

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের একজন একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ (৪৮)। আরেকজন এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি সাজু (২১)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে দেলোয়ারকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দেলোয়ারকে আদালতে হাজির করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।

এর আগে নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।  এ সময় অপরিচিত লোক দাবি করে তাকে বেঁধে ফেলে স্থানীয় ওই বখাটেরা। পরে ঘরের ভেতর ঢুকে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চালায় অমানুষিক নির্যাতন। সেই ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে।

দোষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর এক মাস পার হলেও ভয়ে মুখ খোলেননি কেউ। কিন্তু সম্প্রতি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি নজরে এলে রোববার (৪ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতেই থানায় পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা নারী।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরালের পর শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। বর্বর এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন সবাই।

ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন