
বিশেষ প্রতিবেদন-
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কুমিল্লা মর্ডান স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী আফরান অনন্তের (১৭) মৃত্যু হয়েছে। সে কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ বাগিচাগাঁও এলাকার মাঈনুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্ধুদের সাথে আনন্দ করার সময় বিদ্যুৎ খুটিতে হাত দিলে বিদুৎস্পৃষ্ট গুরুতর আহত হয়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা ৭ টায় দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার করুন মৃত্যুতে সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে। সে  ছিলো ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এলাকায় নেমে এসেছে শোাকের ছায়া।
উল্লেখ্য যে, শনিবার সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া কলেজে ডিগ্রি শাখায় বন্ধুর জন্মদিন পালন করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। তার সহপাঠিরা তার চলে যাওয়াতে  বেশ শোকাহত। এমনি এক বন্ধু তার ‘শাহরিয়ারা জামান তনয়’ । তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে ‘আফরান অনন্তের’ উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখেন-
চিঠি-
“সামনে তোর এসএসসি। এখন তোর পড়াশোনার করার সময়। আর এই সময়টাতেই কি তোর চলে যাওয়াটা এতো জরুরি ছিল ? আর তো কখনো তোর সাথে কাটানো সময়গুলো ফিরে আসবে না। খারাপ লাগবে না ? পরশুদিনও তো প্রায় সতের মিনিট ফোনে কথা বললি! কিন্তু একটাবারও তো চলে যাওয়ার কথাটা বললি না ? সত্যিই যদি জানতাম এটাই আমাদের শেষ ফোন আলাপ তাহলে তো তোর সাথে বাকী কথাগুলো বলে তৃষ্ণা মেটাতাম। একটা কথা কি জানিস, তুই আমার জুনিয়র ছিলি কিন্তু কখনো সেটা তোকে বুঝতে দেইনি! জীবনের যতো গোপনীয় গল্প ছিল সেগুলোও তোর কাছে শেয়ার করতাম ।
আর তুই এতোটাই স্বার্থপর , না বলে চলে গেলি ? বাসায় না বলে কতো জায়গায় আমরা ঘুরেছি সেসব তুই আর আমি ছাড়া কেউ জানেনা! কেউ না!! জানিস একটা কথা; তোর এই রেখা যাওয়া স্মৃতিগুলো আমৃত্যু আমাকে পোড়াবে। তোকে নিয়ে কিছু লিখতে চাই! তবে আর পারছি না! চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে।
নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। মনে হয় এইতো আমি! এইতো! তোর সাথে চলে যাচ্ছি! অনন্ত, তোকে প্রচুর বকাবকি করতাম, তাই না ? শেষ যখন কথা হয়েছে তখনও প্রচুর বকাবকি করসি! আজকের এই দিনটার জন্য হলেও মাফ করে দিস! প্লিজ! আর শুন; মন খারাপ করিস না! সবাই একদিন তোর মতো চলে যাবে! অপেক্ষায় থাকিস …….. ভালো থাকিস ওপারে!”
		
