শতভাগ আসনে যাত্রী নিচ্ছে পরিবহনগুলো, ভাড়া ফেরেনি আগের জায়গায়

প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২০

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার। কিন্তু শতভাগ আসনে যাত্রী নিচ্ছে পরিবহনগুলো। কিন্তু ভাড়া ফেরেনি আগের জায়গায়। বাড়তি ভাড়াই নিচ্ছে তারা। এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পুরোদমে শুরু হয়েছে অফিস-আদালত। গণপরিবহন ও রাজপথ ফিরেছে পুরনো রূপে। করোনাকালের সবকিছুর বদল হলেও এখনও গণপরিবহনে ভাড়া বদলায়নি।

যেসব শর্তে করোনাকালীন সময়ে গণপরিবহন পরিচালনা শুরু করা হয় সেসবের কিছুই মানা হচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত ৫০ শতাংশ আসনের পরিবর্তে পরিবহনের সবকটি আসনে যাত্রী বসিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। কিন্তু ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ।

কখনও কখনও সরকার ঘোষিত বর্ধিত ৬০ শতাংশও আদায় করা হয়। এ নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন পরিচালকদের মাঝে বাক-বিতণ্ডাও হতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দাবি, যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি ও সরকার ঘোষিত কিছুই মানা হচ্ছে না তাই আগে ভাড়ায় ফেরা উচিত। বাড়তি ভাড়া নেওয়া অযৌক্তিক।

নগরীর ধানমণ্ডি ২৭, ৩২, পান্থপথ, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, সকালে অফিস শুরুর আগে এবং বিকালে অফিস শেষ হওয়ার পর প্রতিটি পরিবহনের সবকটি আসন ভর্তি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। মালিকদের কাছে পর্যাপ্ত পরিবহন থাকলেও তারা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সবকটি পরিবহনে যাত্রী পারাপার করছে বলে অভিযোগ অনেক যাত্রীর।

যাত্রীরা জানান, সরকার বাসায় বসে অফিস করার সুযোগ বাতিল করেছে। সশরীরে উপস্থিত হয়েই এখন অফিস করতে হচ্ছে। অন্যান্য সংস্থাগুলোও চালু হয়েছে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় পরিবহন সড়কে কম। কারণ রাস্তায় বাস কম রাখা হলে মানুষের চাপ বেশি থাকবে। তখন যাত্রীরা বাধ্য হয়েই বাসের সব আসন দখল করে বসবে। এমন সংকট সৃষ্টি করতেই পরিবহন মালিকরা যাত্রীদের তুলনায় রাস্তায় বাস নামাচ্ছে না। আর বেশি যাত্রী পরিবহন করলেও ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ।

আই.এ/

মন্তব্য করুন