অন্যায় আচরণ অনেক সহ্য করেছি, আর নয়: জাফরুল্লাহ

প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২০

গবেষণার অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার থেকে নিজেদের উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। পাশাপাশি একইদিন প্লাজমা সেন্টারও চালু করা হবে। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্লাজমা সেন্টার চালুর পর আগামী ১০ দিনের মধ্যেই পিসিআর পদ্ধতিতেও করোনা পরীক্ষা শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে তা সরকারকে জানানো হয়েছে। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে পরীক্ষার ক্ষেত্রে যাদের স্বাস্থ্যবিমা আছে, তাদের জন্য আড়াই হাজার টাকা এবং যাদের স্বাস্থ্যবিমা নেই, তাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে ফি নেয়া হবে।

যারা করোনামুক্ত হয়েছেন তাদের রক্ত দিতে আসার আহ্বান জানিয়ে প্লাজমা সেন্টারের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক রক্ত দরকার। প্রত্যেকের এসে রক্ত দিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এ কাজে কোনো খরচ নেই। তবে যিনি প্লাজমা নেবেন, তার ক্ষেত্রে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় থাকায় সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা করে ফি পড়বে।

গণস্বাস্থ্যের প্লাজমা সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সারাদেশের মানুষ এখান থেকে প্লাজমা নিতে পারবে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিদিন ২৫ জনকে প্লাজমা দেয়া হবে। আগামী মাসে বিদেশ থেকে আরো একটি মেশিন আসছে। তখন প্রতিদিন ৬০ জনকে প্লাজমা দেয়া যাবে বলে আশা করছি।

অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকার কিটের অনুমোদন না দিলেও গবেষণার অংশ হিসেবে এই কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে আগামীকাল থেকেই। এক্ষেত্রে ৪০০ টাকা করে ফি নেয়া হবে। তারপরও সরকার থেকে কোনো আইনি জটিলতা বা ঝামেলা করলে সেটার মুখোমুখি হবো। তাদের অন্যায় আচরণ অনেকদিন সহ্য করেছি, আর নয়। তারা দেশের ক্ষতি করছে, তাদের আচরণ হয়রানিমূলক। নাগরিক হিসেবে এটা আর সহ্য করা হবে না। প্রয়োজন হলে তারা আদালতে যাক, ব্যবস্থা নিক।

ঘুষ না দেওয়ায় এবং আমদানিকারকদের স্বার্থে তারা আমাদেরকে আটকে রেখেছে। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডার্ড হতে হবে। এখন আবার বলছে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। এটা কোনো সমাধান নয়। সরকার ভুল পথে হাঁটছে। আগে ব্যাংক আমাদের ৫০ কোটি টাকা দেয়ার জন্য পেছনে ঘুরেছিল। আর এখন কোনো ব্যাংক উৎসাহী না। সরকারের উদাসীনতার কারণেই এমনটা হয়েছে, যোগ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।

তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিটের লাইসেন্স নিতে অনেক দেশ থেকেই আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অন্যান্য দেশ এটা উদ্ভাবন করে ফেলেছে। এতে বাংলাদেশ প্রথম উদ্ভাবনের সুনামটা হারিয়েছে। ব্যবসার সুনামটাও হারিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা মানসিকভাবে উন্নত না। এটাই প্রমাণ হয়ে গেছে।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন