জবিতে খুব শ্রীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে ছাত্রী হল

প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নির্মাত ভবন।

আতিকুল ইসলাম, জবি : সম্পূর্ণ অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাপ্তি টেনে চালু হতে চলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রী হল। সকল কাজ সমাধা শেষে চলতি বছরের জুনে হল ছাত্রীদের উঠার উপযুক্ত হবে বলে জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একাধিকবার হলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন করতে গিয়ে বেশ ক’বার পুলিশ ও ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের হাতে প্রহার ও আক্রমণের শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

এরই প্রেক্ষীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাংলাবাজার সরকারি স্কুলের পাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় জবির একমাত্র ও প্রথম ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ। হলটির নামকরণ করা হয়েছে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ।

১৬ তলা বিশিষ্ট এই হলে এক হাজার ছাত্রী আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী হলের কাজ ২০১৩ সালে শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০১৯ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা স্থির করেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের।

ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের প্রভোস্ট হিসেবে রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড.এস.এম আনোয়ারা বেগমকে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি ইতোপূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্টার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫-এর ৮(ঝ) ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর প্রথম প্রভোস্ট হিসেবে আগামী ২ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগ ০১/০১/২০১৯ তারিখ হতে কার্যকর হয়েছে । আপাতত হল বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হলের নিয়ম-কানুন তৈরি করা, সাজসজ্জা্ এবং ডাইনিং বিষয়ে সকল কাজ আগে থেকেই শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সহকারী প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর নিয়োগ দেওয়া হবে ।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম বলেন, “আমাকে প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । আমি নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে সে অনুযায়ী হল পরিদর্শনে গিয়েছি । এখনো হলের কাজ সম্পূন হয়নি, কাজ চলছে । যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছি ।”

তিনি আরো জানান, এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে যেমন, হাউজ টিউটর ও স্টাফ নিয়োগ ও  হল সজ্জিত করা । ছাত্রীদের হলে উঠার জন্য আবেদন করতে বলা হবে । কবে মেয়েরা হলে উঠবে জানতে চাইলে আনোয়ারা বেগম বলেন, “হলের কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ জুন পর্যন্ত । এর আগেও হতে পারে ।

যেতেতু কাজটি শিক্ষামন্ত্রনালয়ের অধীনে, আমরা জরুরি মিটিং ডেকে দ্রুত হল হস্তান্তর করার জন্য বলবো । আমাদের হাতে দেওয়া হলে আমি মেয়েদের হলে তুলবো  । আমি চাইবো জুনের আগেই মেয়েদের হলে উঠাতে । ” এতে ছাত্রীদের আবাসন দূর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশাবাদী জবির শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য করুন