

হাঁসের খামার করে দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের কাজী আতহার হোসেনের। তার খামারে ছিল ১২৮টি হাঁস। স্থানীয় নন্দকুঁজা নদীতে বেশ কয়েক বছর ধরেই খামার বানিয়ে হাঁস পালন করে আসছেন তিনি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার দুপুরে যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কে বা কারা হাঁসগুলোকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে! সবগুলো হাঁস মরে ভেসে আছে নদীতে।
কাজী আতহার হোসেন অবশ্য অনেকটা নিশ্চিত করেই বলছেন, এমন নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিবেশী আয়নাল ও ইমরান। গতকাল সকালে হাঁসগুলো নদীর পাশে থাকা ওই দুজনের বাঁশবাগানে আশ্রয় নিয়েছিল। এ নিয়ে তখনই তারা আতহার হোসেনকে শাসিয়ে গেছে। এর আগেও কয়েকবার আতহারকে সতর্ক করেছিল তারা। কিন্তু হাঁস তো আর মানুষের কথা শুনতে চায় না, আতহারের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে গতকাল আবারো উঠেছে বাঁশবাগনে।
স্থানীয়রা বলছেন, এটা ভয়ংকর নিষ্ঠুরতা। বাঁশবাগানে ওঠার অপরাধে এভাবে কেউ হাঁস মেরে ফেলতে পারে না। খামারের মালিক আতহার হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এই হাঁসগুলো তুলেছিলাম। ১২৮টির মধ্যে ১২৬টি ডিম দিচ্ছিল, সেই ডিম বিক্রি করে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিস্তি পরিশোধ করতাম। এখন তো আমার সবকিছু নাই হয়ে গেল!
আয়নাল ও ইমরান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, আতহারের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে সত্যি, কিন্তু আমরা হাঁস মারিনি। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য সে থানায় মামলা পর্যন্ত করেছে। বাংলা নিউজ ২৪।
এমএম/পাবলিকভয়েস