

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩,৮০৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখা দাঁড়ালো এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে।
গতকাল বুধবারের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার ২০৫ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল শনাক্ত হয়েছিলেন ৪,০০৮ জন।
একই সাথে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯৮৫ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৩৮ জন মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
করো না আপডেট প্রকাশের আগে করো না পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত ব্রিফিংয়ে আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন জানিয়ে আজাদ বলেন, আমাকে হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয়েছে। সবার দোয়ায় আমি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছি।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ হাজার ৩৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ২৫৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৩৪৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯৭৫ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ১৬৪ জন।
আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫১ হাজার ১২২ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৭ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৪ হাজার ৪৭২ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ১২২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।