

গত ১৩ জুন লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার ২নং হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে গতকাল দুপুরে ঘরে একা পেয়ে হিরা মনি (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এবং গত ১২ জুন নোয়াখালীর সেনবাগে প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২০) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কবরস্থানে আটকে রেখে ১০ জন বখাটে মিলে ধর্ষণ করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর এই লকডাউনের সময় ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক আলোচিত এই দুটি ধর্ষণের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমাজসেবক ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন
তিনি এই ধর্ষণের ঘটনার কঠোর এবং উদাহরণীয় শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় আইন ও প্রশাসনসহ মাননীয় আইজিপি এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
একইসাথে তিনি বলেছেন – করোনা লকডাউন শেষ হওয়ার পর তিনি অবশ্যই ফেনীর সোনাগাজীর নুসরাতের পরিবারের মতো লক্ষীপুরের হিরামনির পরিবারের কাছেও যেতে চান। এবং এই মামলার দায়ভার থেকে শুরু করে তাদেরকে যে কোনো আইনি সহায়তা দিতে তিনি প্রস্তুত বলে জানান।
এ বিষয়ে ফেসবুকে এক লাইভে তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন – সারা পৃথিবী যখন করোনারি দুর্যোগে বিপর্যস্ত তখন আমাদেরকে এমন ঘটনা শুনতে হচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক যেখানে আমরা প্রতিদিন আমাদের আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু সংবাদ পাচ্ছি সেই মুহূর্তে সে এমন বর্বর কার্যক্রম দেখলে চিন্তায় পড়ে যাই আমরা এখন মানুষের কাতারে আছে কিনা
তিরি লক্ষ্মীপুরে পালেরহাট উপজেলায় হিরা মনির ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন মেয়েটির বাবা ক্যান্সারের পেশেন্ট ছিলেন এবং তাকে দেখতে এবং তার লাশ ফিরিয়ে আনতে তার মা গিয়েছিলেন ঢাকায় এই সুযোগে যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ যারা করেছে তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার আহবান জানান তিনি।
সেনবাগে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন – একজন প্রতিবন্ধী মেয়েকে কবরস্থানে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা সত্যিই সর্বোচ্চ মানুষের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চরম দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে।
তিনি বলেন – এভাবে আর কত নুসরাতের ঘটনা আমরা শুনব এবং এই দুরবস্থা সময়ও যখন এমন অমানুষের মত কাজ করার ঘটনা শুনি আমরা তখন কিভাবে এই করোনা থেকে মুক্তি চাইবো এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো।
তিনি তাই জোর গলায় প্রশাসনের কাছে দাবি করেন এই ঘটনার যেন উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
আরআর/পাবলিক ভয়েস