গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুসারে করোনা ভাইরাস জনিত রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯০২ জন বাংলাদেশ কর্ন সংক্রমনের পর থেকে একদিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে সর্বোচ্চ সুস্থ আজ। এ নিয়ে শনাক্তের পর দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৩০ জনে।
অপরদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসজনীত রোগে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ১৭১ জন।
একই দিনে নতুন করে আরও ৩১৪১ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৫২০ জনে। যা ছাড়িয়ে গেছে চীনকেও।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তিনি সংযোজিত একটিসহ মোট ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ হাজার ৬৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৫০৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ এক হাজার ৪৬৫টি।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ রোববার বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৭২ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩৪ লাখ দুই হাজার ৩৬৬ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৪ হাজার ১৩২ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরআর/পাবলিক ভয়েস
