

একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও মোবাইল চুরির ‘ভুয়া অভিযোগে’ দুই শিশুকে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার এক ইউপি সদস্য। এতে করে তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নির্যাতনের পর জানা যায়, ওই দুই শিশু মোবাইল চুরির সঙ্গে যুক্ত নন। তাদের মাকে ফাঁসাতেই পরিকল্পিতভাবে দুই শিশুর বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে। জানা যায়, ওই দুই শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে বিরোধ চলছে চাচা মোতালেব আলীর। সেই বিরোধের জের ধরে তাদেরকে ঘায়েল করার জন্য শিশু দুটির বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনা হয়। স্থানীয় মেম্বারের নেতৃত্বে ডাকা হয় শালিশ বৈঠক।
শিশুদের মা শরিফা বলেন, শালিশে এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে মোতালেব আলীসহ আরও কয়েকজন আমার ছেলেদের হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করা হয়। এতে বাচ্চারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এই ঘটনার বিচার চেয়ে শরিফা বেগম ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ আরো ৭ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আমরা ঘটনার সত্যতা জানতে পেরেছি। অভিযুক্তদের আটক করার চেষ্টাও করেছি, কিন্তু তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এমএম/পাবলিকভয়েস