বাজেটে নেই, তারপরও বেড়েছে দাম

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২০

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পেশ করা প্রস্তাবিত বাজেটে শাক-সবজিসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব করা হয়নি। তবুও এগুলোর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মতিঝিল, খিলগাঁও, মুগদা, ফকিরাপুল, সেগুনবাগিচাসহ বেশিরভাগ বাজারেই অতিরিক্ত দামে শাক-সবজি, মাছ, মুরগি ও ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত এবং পেঁয়াজ-রসুনের দাম কমেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সব ধরনের শাক-সবজির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। প্রতি কেজি করলা ৭০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, সাদা আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এ ছাড়া ধুন্দল, ঝিঙা ও পেঁপে কেজিতে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ও কচুর লতি ৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং প্রতি হালি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহ থেকে দুই-তিন টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। ডিমের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে।

গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ থেকে ২২৫ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজেটে অনেক কিছু থাকলেও সেগুলো তারা বোঝেন না। পাইকারি বাজার থেকে পণ্য এনে সেগুলো বিক্রি করেন। যদি পাইকারি বাজারে দাম বাড়ে, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করেন। আর দাম কমলে কম দামে বিক্রি করেন।

এমএম/পাবলিকভয়েস

মন্তব্য করুন