

শুক্রবার হলো মুমিন মুসলমানের ঈদের দিন। ঈমানদার মুসলমানের ঈমান বৃদ্ধির দিন। সর্বোপরি সপ্তাহের সেরা দিন ইয়াওমুল জুমা বা শুক্রবার। এ দিন আনন্দ-উৎসবের সঙ্গেই ছোট থেকে বড় সবাই জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে হাজির হয়। জুমার নামাজ মুসলিম ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা তুলে ধরে সমগ্র বিশ্বের সামনে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমান এই সময়ে আগের নিয়মে নামাজ আদায় কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি থাকলেও মানতে হচ্ছে কিছু বিধি-নিষেধ। অর্থাৎ এ পরিস্থিতিতেও সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধী মেনে মসজিদে নামাজ আদায় করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ করে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রনালয় থেকে ঘোষিত যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে তা যথাযথ পালন করুন সবাই। এমনকি এসব নিয়ম ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরাও সমর্থন করছেন।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলেম ও ফকিহ শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার এর মহাপরিচালক মুফতী মিযানুর রহমান সাঈদ এ বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় বলেন সবাইকে অবশ্যই সর্তকতা মেনে এবং নিয়মের মধ্য থেকে মসজিদে নামাজ আদায় করতে হবে।
এছাড়াও পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম মুফতী তাকী উসমানীও করোনাকালীন সময়ে নামাজের ক্ষেত্রে নিয়ম কানুন মেনে চলার ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন।
মসজিদে নামাজের জন্য বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া ১২ দফা শর্তের মধ্যে রয়েছে-
- ১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
- ২. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ
- জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
- ৩. প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
- ৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
- ৫. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
অন্য শর্তগুলো হচ্ছে–
- ৬.কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পরপর দাঁড়ানো। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করা।
- ৭. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
- ৮. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
- ৯. মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
- ১০. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে;
- ১১. মসজিদে খবার-দাবারের আয়োজন করা যাবে না।
করোনাকালীন এই সময় পার হওয়ার পর অবশ্যই এ নিয়মগুলো থাকবে না এবং আগের নিয়মে আদায় হবে জুমার নামাজ।
জুমা ও শুক্রবার সম্পর্কে জানতে পড়ুন :
কিভাবে এলো শুক্রবার : কী করবো এই দিনে
আরআর/পাবলিক ভয়েস